দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ রাহুল গান্ধীর গাড়ির পিছনের কাচ ভাঙল মালদহে। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিহার থেকে মালদহ আসছিলেন রাহুল। বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দেওয়ানগঞ্জের কাছে জনতার চাপের মধ্যে পড়েন রাহুল। সেখানেই তিনি যে কালো রঙের গাড়িতে ছিলেন, তার পিছনের কাচ ভেঙে যায়।
কীভাবে ভাঙল, জানেনই না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী! তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘বুঝে নিন, কে ভাঙতে পারে।’ এলাকায় চরম উত্তেজনা। গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন পুরোটাই ভেঙে গিয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে এসেছেন রাহুল। কাটিহার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। তখনই আচমকাই গাড়িতে হামলা।
বস্তুত, রাহুলের সঙ্গে ওই গাড়িতে অধীর নিজেও ছিলেন। কংগ্রেস নেতার গাড়ির কাচ ভাঙা নিয়ে অধীরের মন্তব্য, ‘‘যত রকমের বিরোধিতা করা যায়, হয়েছে। কোচবিহার থেকে এই অসহযোগিতা শুরু হয়েছে।’’
বাংলার সংস্কৃতি অতিথি দেব ভব। আমরা কাউকে অবজ্ঞা করি না অতিথি আপ্পায়নের ক্ষেত্রে। প্রতি পদে হামলা হচ্ছে। কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এটা। তাঁকে সভা করতে না দেওয়া, বলতে না দেওয়া-যত রকমের বিরোধিতা করা সম্ভব সব হচ্ছে।” কিন্তু কীভাবে ভাঙল? অধীর বললেন, “আমি কীভাবে বলব, আমি তো গাড়ির মধ্যে বসে ছিলাম।”
আজ একইদিনে মালদহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সকাল ১১ টা নাগাদ মালদহ পুলিস লাইনে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এরপর পুলিশ লাইন থেকে মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ময়দান পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মালদহ জেলা ক্রীড়া ময়দানে প্রশাসনিক সভায় অংশ নিয়েছেন মমতা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মালদহ শহরকে। তারইমধ্যে আজ রাহুল গান্ধির গাড়িতে আচমকা কাচ ভাঙার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ একইদিনে মালদহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সকাল ১১ টা নাগাদ মালদহ পুলিস লাইনে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এরপর পুলিশ লাইন থেকে মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ময়দান পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মালদহ জেলা ক্রীড়া ময়দানে প্রশাসনিক সভায় অংশ নিয়েছেন মমতা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মালদহ শহরকে। তারইমধ্যে আজ রাহুল গান্ধির গাড়িতে আচমকা কাচ ভাঙার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্য দিকে, এই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, ‘‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার ১৮ তম দিনে আমরা বিহারের কাটিহার থেকে বাংলায় এসেছি। বাংলায় ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার এটা ‘পার্ট-টু’।’’ কিন্তু হামলা নিয়ে একটি কথাও না বলে তিনি মাইক এগিয়ে দেন কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমারের দিকে। কানহাইয়াও বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী সরকারকে নিশানা করেন। তিনি দেশে বেকারত্ব, কর্মসংস্থান ইত্যাদি নিয়ে মন্তব্য করেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাহুলের গাড়িতে ‘হামলা’ নিয়ে তিনিও কোনও মন্তব্য করেননি।