আর কিছু সময় পর রাতের দখল নিতে যাচ্ছে মেয়েরা। আজ রাত ১১ .৫৫ মিনিটে সারা বাংলায় মেয়েদের আন্দোলন ইতিমধ্যে যেন এক প্রতিবাদের ঝড়ের পূর্বাভাস । কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না এ লড়াই শুধু মেয়েদের I লড়াইটা অমানুষের বিরুদ্ধে মানুষের । পুরুষের বিরুদ্ধে নারীর নয় । নারীর অধিকার জাহির করারও না ,বরং ধর্ষকের এবং ধর্ষকদের যাঁরা আড়াল করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া ” মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে ।সাবধান” !
সারা রাজ্য তথা দেশের মানুষ আর .জি.করের পাশবিক ঘটনার জন্য ধিক্কার জানিয়েছেন । রাজনৈতিক সংগঠন, অরাজনৈতিক সংগঠন মাঠে নেমে প্রতিবাদে সামিল । বুুুুুধবার বনগাঁ সহ সারা রাজ্যে আইনজীবীরা দল মত নির্বিশেষে রাস্তায় নেমে সোচ্চার হয়েছেন । ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়েছেন । প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করছেন । গতকাল আইনজীবীরা আদালতে সত্তয়াল করছেন । আদালত রাজ্য পুলিশের থেকে তদন্তভার কেন্দ্রিয় এজেন্সির কাছে স্থানান্তরিত করেছে । মানুষ আশায় বুক বাঁধছেন । পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রমান লোপাটের অভিযোগ উঠছে । মানুষ আরও গর্জে উঠছে । কোথাও কোথাও প্রতিবাদের পাল্টা প্রতিরোধেরও অভিযোগ রয়েছে । নানা ধর্ষকদের পক্ষে না, বরং এই আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য নোংরা রাজনীতি, ডি মোটিভেট করা I আমি এতে আশ্চর্য্য হচ্ছি না । এ সংস্কৃতি অনন্ত কাল ধরে চলে আসছে ।
আমি ভাবছি আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে I আমি অনেক আন্দোলনের কথা শুনেছি পড়েছি দেখেছি অল্পI তবে আন্দোলনের ইতিহাস সব সময় সবশেষে জয়ের বার্তা বহন করে না। তবে এতে আন্দোলনকারীদের দোষ দেখি না । দোষ দেখি তদন্তকারী সংস্থার, পাবলিক প্রসিকিউটারের । তবে সবচেয়ে বেশি মামলার যাঁরা সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তাদের I ব্যক্তিগত ব্যবহারিক অভিজ্ঞতায় দেখি প্রবল প্রতিবাদী অনেকেই আদালতে গিয়ে ঘটনার কথা ঠিক করে বলতে পারেন না । কি জানি কি হয় ! হয় ভুলে যান না হয় ভয় পান অথবা ধুলো বালি ছাই এর মত সবটা ঝেড়ে ফেলে কিছুূ দিন পর |
আমার দেশের আইন অনেকটাই লিবারেল I The principal of natural justice i.e Opportunity of being heard is applied to all respect. And the burden of proof always lies up on the prosecutor/state/Union of India. আসামীর জন্য আইনজীবীও দাঁড়াবে । এটা তার সাংবিধানিক অধিকার । সুতরাং এবিষয়ে অযথা চিৎকার করে কিংবা কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই । Benifit of doubt এর লাভ আসামী পাবে Iবরং লাভ আছে মামলার প্রতি মূহুর্তের খবরা খবর রেখে সজাগ থাকার। সাক্ষী দের আগলে রাখা । কোন হুমকীর কাছে মাথা নত না করা I সরকার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তাদের প্রাথমিক অনুমান কিম্বা তত্ত্ব যাই বলুক সেটাকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করবে । এটাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে । তাই এই সময়টা শুধু এক জোটে সরকারের উপর কিম্বা প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা নয় বরং আগামীতে এই ঘটনা ঘটলে যাতে তারা কোনভাবে কোন ঘটনা ধামা চাপা দিতে সাহস না পায় সেটা এনসিওর করা I
পরিশেষে বলতে চাই ধর্ষকের কোন জাত হয় না । ধর্ষণটা একটা মানসিক ব্যাধি । তাই এই রোগ মুক্ত সমাজ গড়তে আমাদের প্রতি মুহুর্তে মানসিক পাঠশালা চালিয়ে যেতে হবে |