সারা দেশ তাকিয়ে রয়েছে শীর্ষ আদালতের আরজি কর-মামলার শুনানির দিকে। সিবিআই শীর্ষ আদালতে কী রিপোর্ট জমা দেয়, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে গোটা দেশের। সুপ্রিম কোর্ট কী বলে, সে দিকেও নজর সকলের।
চলছে আরজি কর মামলার শুনানি
নির্যাতিতার ছবি ব্যবহার নিয়ে নির্দেশ দেবে সুুপ্রিম কোর্ট
নির্যাতিতার ছবি ব্যবহার নিয়ে নির্দেশ দেবে সুুপ্রিম কোর্ট। জানালেন প্রধান বিচারপতি।
ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন, সিবিআইকে তাঁদের নাম দিতে চান ইন্দিরা
জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, “ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নাম জমা দিতে চাই সিবিআইকে। যাঁদের সেখানে থাকার দরকার ছিল না, তাঁরাও ছিলেন। এখনই এটা প্রকাশ্যে আনতে চাই না।”
সিবিআইয়ের রিপোর্টে কোন কোন বিষয়ের উল্লেখ?
প্রধান বিচারপতি বলেন, ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কি না, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট-সহ পুরো বিষয়টি রিপোর্টে বলা হয়েছে।
‘যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন, তদন্তে তা উঠে এসেছে’
তদন্ত রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা তদন্ত রিপোর্ট দেখেছি। যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে।”
CBI-এর স্টেটাস রিপোর্টে সন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি:
নির্যাতিতার পরিবার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে তদন্তে কী উঠে আসছে, তা যদি আমরা প্রকাশ করি, তাহলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রধান বিচারপতি:
আমরা স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা একটা বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। আমরা যা যা প্রশ্ন তুলেছি সব প্রশ্নের উত্তর সিবিআই-এর তরফে দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি:
প্রকৃত সত্য তুলে আনার জন্যই সিবিআই তদন্ত করছে। যে চালান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। পোস্টমর্টেমের প্রসেস নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সকলে জানেন। তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কি না, অন্য কোনও ব্যক্তি যুক্ত কি না প্রত্যেকটা বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে।
চার্জশিট জমা দিতে কত দিন লাগবে, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
সিবিআইয়ের জমা দেওয়া রিপোর্ট পড়ে দেখছেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, চার্জশিট জমা দিতে কত দিন সময় লাগবে?
লাইভ স্ট্রিমিং না করার আবেদন কপিল সিব্বলের
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল:
এই মামলার সঙ্গে আবেগ জড়িত আছে। আপনারা যদি লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে অনেক রকম কমেন্ট (মন্তব্য) করা হচ্ছে। আমাদের রেপুটেশন (ভাবমূর্তি) প্রশ্নের মুখে পড়ছে। লাইফ স্ট্রিমিং হওয়া উচিত না, এই ধরনের সংবেদনশীল মামলায়। তাঁর দাবি, অ্যাসিড ছোড়া বা ধর্ষণের মতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে আইনজীবীদের।
প্রধান বিচারপতি:
বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবী, তারা যে পক্ষেই থাক, আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা অবশ্যই দেখব। এটি একটি জনস্বার্থ মামলা। এটা ওপেন কোর্ট।
সিবিআই-এর দেওয়া স্টেটাস রিপোর্ট পড়ছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
বসল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টে।
এজলাসে উপস্থিত হলেন আইনজীবীরা
কিছু ক্ষণ পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হবে। তার আগে এজলাসে উপস্থিত হলেন বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীরা।
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল, মেনকা গুরুস্বামী।
কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তথা সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা, কানু আগরওয়াল।
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, শামিম আহমেদ।
জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের’ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ।
চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গলের’ আইনজীবী করুণা নন্দী, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা, বাঁশরী স্বরাজ।
বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী।
জনস্বার্থ মামলাকারী বিজয়কুমার সিঙ্ঘলের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।
প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমীলার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ-খুন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতে সিবিআই কী রিপোর্ট জমা দেয় নজর সেদিকে। উভয়ের বিরুদ্ধেই ক্রাইম সিন ট্য়াম্পারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই মনে করছে, এই দু’জন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত। তার উপর সন্দীপ ঘোষ আবার আগে থেকেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে।
চালান-বিতর্ক
আগের দিনের শুনানিতে এই চালান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করেছিলেন, এই মামলার তদন্তে চালানের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পোস্ট মর্টেমের আগে চালান ইস্যু করা হয়েছিল কি না, তা এদিন আদালতে রাজ্যকে স্পষ্ট করতে হবে। আগেরদিনই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, কলকাতা পুলিশ সিবিআইকে যে ফাইল দিয়েছে, তাতে চালান নেই। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালাও এই চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি
গত শুনানির দিনই (৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নিতে আবেদন করেছিল। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তারা। একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়েও বলা হয়েছিল রাজ্যকে। যদিও সুপ্রিম-আবেদন মানা হয়নি জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে তাঁরা। হাসপাতালগুলিতে কর্মবিরতি বহাল রেখেছেন। এ নিয়ে আজ আদালত কী বলে, নজর সেদিকেও।