দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত হলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ । দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করার পর ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।

স্কটল্যান্ডের মাটিতে ৯৬ বছর বয়সে রোগভোগের পর মৃত্যু হল তাঁর। বয়সজনিত অসুস্থতায় অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। আজ ভারতীয় সময় রাত ১১টায় তাঁর মৃত্যু সংবাদ দেয় ইংল্যান্ডের রাজ পরিবার।  রাজ পরিবারের তরফে টুইট করে বলা হয়, ‘আজ বিকেলে বালমোরায় শান্তিতেই মৃত্যু হয়েছে রানির। আজকের দিনটা রাজা এবং কুইন কনসর্ট বালমোরাতেই থাকবেন। কাল লন্ডনে ফিরে যাবেন।’

বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে খবর, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র, ৭৩ বছর বয়সী চার্লস রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হবেন।

আজ সকাল থেকেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শরীরের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। এই নিয়ে চিকিৎসকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন তিনি। রানির আকস্মিক অসুস্থতার খবরে বৃহস্পতিবার সকালেই রাজপরিবারের চার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা স্কটল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সিংহাসনে বসার পর থেকে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সেই ছবিতেই স্পষ্টত বোঝা গিয়েছিল, কতটা অসুস্থ ছিলেন তিনি।

গত বছরের অক্টোবর থেকেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছিল রানির শরীরে। এর মধ্যে অন্যতম শারীরিক জটিলতা ছিল, তিনি বেশি হাঁটতে ও বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। এদিকে, আজ সকালেই রানির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। অনেকেই তাঁর সেরে ওঠার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেন রানি।

বৃহস্পতিবার রানির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আশঙ্কা আঁচ করে তাঁর শয্যার পাশে চলে আসেন ঘনিষ্ঠেরা। নাতি হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কল কানাডা থেকে দ্রুত ফিরে আসেন। বুধবার কিছু রাজনৈতিক পরামর্শদাতাদের সঙ্গে বৈঠক ছিল রানি এলিজাবেথের। কিন্তু তা বাতিল করতে হয়। মঙ্গলবার অবশ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং নয়া প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে দেখা হয় রানির।  সাম্প্রতিক কয়েকমাসে স্পষ্টতই দুর্বল দেখাচ্ছিল ইংল্যান্ডেশ্বরীকে। বয়স তাঁর একাধিক কাজে থাবা বসায়। একাধিক কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি। রানির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতা-মন্ত্রী এবং বড় বড় ব্যক্তিত্বরা। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here