
বনগাঁ : ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে দেহ । বাড়িতে শোকের আবহে পোস্টমাস্টার নিয়ে আসলেন চিঠি। চিঠির বয়ান দেখেই ডুকরে কেঁদে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা। সরকারের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত পত্র। তবে চাকরিপ্রার্থী তখন আর বেঁচে নেই । মর্মান্তিক এই ঘটনায় যেন স্তম্ভিত বনগাঁ থানা এলাকার গোবড়াপুর এলাকা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দোলের দিন বাবার সঙ্গেই পাত পেতে ভাত খেয়েছিলেন বনগাঁ কলেজ থেকে বিএ পাস করা অরিজিৎ সাধু। খাওয়া-দাওয়ার পর রং খেলতে বন্ধুদের সঙ্গেই বেরিয়েছিলেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই হঠাৎ পরিবারে কাছে ফোনে আসে দুঃসংবাদ। স্থানীয় একটি পুকুরেই ডুবে মৃত্যু হয়েছে অরিজিৎ -এর। সাঁতার জান্তনা সে। যে বন্ধুদের সঙ্গে রং খেলতে গিয়েছিল তাদের তরফ থেকেও অরিজিতের বাড়িতে জানানো হয়নি কিছুই। এক প্রতিবেশীর একটি ফোন কল থেকে সাধু পরিবার তাদের ছেলের মৃত্যুর খবর প্রথম জানতে পারে ।
অরিজিতের মৃ্ত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মৃতের পরিবারের তরফে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। কিভাবে অল্প জলের ওই পুকুরেই ডুবে মৃত্যু হতে পারে প্রশ্ন উঠছে সেই বিষয়টি নিয়েও। তবে কি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন ওই যুবক! বাড়িতে শোকের আবহের মাঝেই, হঠাৎ এদিন সকালে পোস্টমাস্টার নিয়ে আসলেন সাদা খামের একটি চিঠি। চিঠির মুখ খুলতেই আরও যেন শোকের আবহে পড়ল ঘিতাহতী।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসে ছিলেন অরিজিৎ সাধু। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের সেই নিয়োগ আটকে থাকার পর অবশেষে নিয়োগ সংক্রান্ত পত্র আসলেও, তখন আর বেঁচে নেই সাধু পরিবারের চাকরিপ্রার্থী ছেলে অরিজিৎ। গোটা পরিবার যেন এখন বাকরুদ্ধ। ছেলের মৃত্যুর আসল কারণ যেমন জানতে চাইছেন তারা পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বন্ধুদেরও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে পরিবারে তরফে। এখন গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বনগাঁ থানার পুলিশ। তবে এমন ঘটনার পর এদিন চাকরির নিয়োগপত্র আশায় মৃত ওই যুবকে নিয়ে গোটা গোবড়া পুর এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।



