দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের বিমান দুর্ঘটনা আমেরিকায়।তবে এ বার ওয়াশিংটন নয়, ঘটনাস্থল পেনসিলভেনিয়া প্রদেশের ফিলাডেলফিয়া শহর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি আকারে ছোট। তাতে ছ’জন ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ফিলাডেলফিয়ার বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরেই কিছু ক্ষণের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। এর ফলে একাধিক বাড়ি এবং গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে বলে খবর। উদ্ধারকাজ চলছে।
এক্স হ্যান্ডল পোস্টে ওই দপ্তরের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘রুজ়ভেল্ট মলের বিপরীতে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ার কটম্যান এবং বুস্টেনটন অ্যাভিনিউয়ের কাছে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। রুজ়ভেল্ট বুলেভার্ডের কিছু অংশ-সহ এলাকার রাস্তাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপাতত সেই এলাকা এড়িয়ে চলুন।’
এ ছাড়াও, একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বহুতল বাড়িগুলির কাছেই ভেঙে পড়েছে মার্কিন বিমানটি। বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী ও জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ভিডিয়ো দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছেন নেটিজ়েনরা। যদিও এ ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি দেশের সময় অনলাইন।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৬ মিনিটে বিমানটি রওনা দিয়েছিল। আকাশে ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ১ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতায় ওঠে এবং তার পর রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে ৪.৮ কিলোমিটার দূরে ভেঙে পড়তে দেখা যায় সেটিকে।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিকট শব্দ কানে আসে। বাইরে বেরোতেই বড় বিস্ফোরণ দেখতে পেলাম। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল বড় কোনও হামলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির কাছে রোনাল্ড রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে একটি যাত্রিবাহী বিমানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। মাঝআকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে বিমানটি পোটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আগের বাইডেন এবং ওবামা প্রশাসনের নীতিকে দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী ভাবে আকাশে একই উচ্চতায় একটি হেলিকপ্টার এবং বিমান চলে এল এবং কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ফিলাডেলফিয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘‘ফিলাডেলফিয়ায় বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আরও কত নিষ্পাপ প্রাণ চলে গেল। আমাদের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।’’