পেট্রাপোল: বৃহস্পতিবার সকালে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ বাংলাদেশের বেনাপোল গেটের পাশে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের বিশালাকার ছবিটিকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তবে কেন বঙ্গবন্ধুর ছবি ঢাকা হল, তার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি এখনও। দেখুন ভিডিও
প্রসঙ্গত, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পরেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে। চলে অবাধে লুটপাট। ঢাকা-সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় মুজিবের মূর্তিও ভাঙা পড়ে। তবে এই আবহেও বুধবার পর্যন্ত যথাস্থানেই ছিল পেট্রাপোল সীমান্তের ও পারে বাংলাদেশের বেনাপোল গেটের কাছে থাকা মুজিবের ছবিটি। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল সেই ছবিটিও ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দুদেশের পণ্য আমদানি – রফতানির কাজ ।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বেনাপোল থেকে ভারতীয় ট্রাকচালকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই। একই সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে থাকা পণ্যের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়। দু দেশের আধিকারিকদের সঙ্গে পরামর্শ মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। এদিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভারত থেকে ১০০টি পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে এবং ৬৮ টি পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে ঢুকেছে বলে জানা গেছে বন্দর সূত্রে I
সোমবার দুপুর তিনটের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায় পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে ৭২৪টি ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে ভারতীয় চালকেরাও আছেন। বাংলাদেশে অশান্তির কারণে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। সেই সমস্ত ট্রাক ও ট্রাক চালকদের কে বুধবারই এ দেশে ফিরেয়ে নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন কার্তিকবাবু I
তবে কি সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিক ? এ নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা চলছে। কার্তিক বলেন, ‘‘বাণিজ্য শুরু করার পক্ষে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও অনুকূল নয়। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বলে পণ্য আমদানি-রফতানি ফের শুরু করা হল।’’
সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী প্রদীপ দে জানান, পণ্য পরিবহণে গতি আনতে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।