দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফ।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ৩ সপ্তাহ ধরে দুবাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভেন্টিলেশনে ছিলেন না। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল গত কয়েকদিন ধরেই। রবিবার দুবাইয়ের ‘আমেরিকান হাসপাতালে’ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯।
দুবাই থেকে তাঁর মরদেহ পাকিস্তানে আনা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত বছর থেকেই মোশারফের পরিবার তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে তা সম্ভব হয়নি। আর এবার একেবারেই বিদায় নিলেন তিনি।
ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুল থেকে কমিশন পান। প্রাক্তন এই সামরিক শাসক ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অংশ নেন। ১৯৯৪ সালে জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং এক বছর পর ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর জেনারেল (অব) মুশারফ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন।
ওল্ড দিল্লিতে ১৯৪৩ সালে জন্মেছিলেন পারভেজ মোশারফ। প্রথম কয়েক বছর এদেশেই বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা তাঁর। এর পরে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান চলে যান তিনি।
২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন পারভেজ মোশারফ। ২০০৭ সালে সংবিধান বাতিল করে সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। ২০০৮ সালে ইমপিচমেন্ট এড়াতে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৪ সালেই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চার্জ গঠন হয়। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ চিকিৎসার জন্য দুবাই চলে যান তিনি। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।
তবে সেই ২০১৬ সালে দুবাইয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি আর ফেরেননি দেশে। তার কয়েক মাস পরেই বিশেষ আদালত তাঁকে ধারাবাহিক অপরাধী ঘোষণা করে। বারবার আদালতে হাজির না হওয়ায় পাকিস্তানে থাকা মোশারফের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে আদালতের নির্দেশে বাতিল হয় তাঁর পাসপোর্ট এবং সমস্ত পরিচয়পত্রও।