বনগাঁ : শুক্রবার সন্ধ্যায় বনগাঁ থানার চাপাবেড়িয়া এলাকায় সন্দেহজনকভাবে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে লক্ষ্য করে বনগাঁ থানার পুলিশ। সন্দেহ জনক গাড়ির চালককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই গাড়ির চালক মুহুর্তের মধ্যেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় গাড়িটির পিছু নেয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। সন্দেহ জনক গাড়িটির অতিরিক্ত গতি থাকায় রাস্তাতে বেশ কয়েকজন পথচারীকেও আঘাত করে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। অবশেষে বনগাঁ থানার খয়রামারি এলাকায় এসে পুলিশ গাড়িটিকে আটককরে। গাড়ির ভিতরে তল্লাশি নিতেই গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় দশটি বিলুপ্ত প্রায় শিকারী পেরিগ্রিন ফ্যালকন বা বাজপাখি। দেখুন ভিডিও
বেআইনিভাবে শিকারী পেরিগ্রিন ফ্যালকন ( বাজ পাখি ) সহ এক পাচারকারীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে বনগাঁ থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানা এলাকায়।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া বিলুপ্তপ্রায় শিকারী পেরিগ্রিন ফ্যালকন ( বাজপাখি) গুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় এক পাখিপ্রেমির কথায়, পেরিগ্রিন ফ্যালকন একটি বিরল প্রজাতির দ্রুতগতির শিকারী পাখি হিসেবেই পরিচিত। পৃথিবীর অনেক দেশে এদের পাওয়া যায়। এরা অনেক উঁচু জায়গায় বা গভীর জঙ্গলের উঁচু গাছে থাকে। এই পাখি মানব সভ্যতার যুগ যুগ ধরে ধর্মীয়, রাজকীয় বা জাতীয় প্রতীক হিসাবেও নানান দেশে ব্যবহৃত হয়েছে। পেরিগ্রিন ফ্যালকন তার গতির জন্য বিখ্যাত। এটি ঘণ্টায় ৩২০ কিমি বা ২০০ মাইল -এর বেশি গতিতে পৌঁছাতে পারে তার শিকারের সময়। এই সহজাত প্রবৃত্তির কারণে এই গ্রহের দ্রুততম প্রাণী হিসাবে পরিচিত এই পাখি।
এদিনের পাখি পাচারের ঘটনায় গাড়ির চালক বনগাঁ থানার গাড়াপোতা এলাকার বাসিন্দা শুভেন্দু রায়কে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর এই বিরল পাখিগুলিকে পাচারের উদ্দেশ্যে কল্যাণী থেকে বনগাঁতে আনা হয়েছিল।
শনিবার ধৃত পাচারকারী শুভেন্দু রায়কে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া পাখিগুলিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।