কেটে গিয়েছে আড়াই বছরের বেশি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে জেলে রয়েছেন। অবশেষে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার নিম্ন আদালত সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া জামিনের নির্দেশ কার্যকর করল। এবার কি জেল থেকে মুক্তি পাবেন প্রাক্তন মন্ত্রী?
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ইডির মামলায় পার্থকে জামিন দিতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রীকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১ ফেব্রুয়ারির আগেই যদি চার্জ গঠন ও সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়ে যায়, তাহলে তার আগেও পার্থকে নিম্ন আদালত জামিন দিতে পারত।
সেইমতো চার্জ গঠন হয়ে যাওয়ায় এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পূর্ণ হওয়ায় নিম্ন আদালত এদিন পার্থকে জামিন দেয়। এদিন ইডি আদালত দুটি ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে পার্থর জামিন মঞ্জুর করেছে।
তবে এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না পার্থ। সিবিআই-র প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এখনও চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। ফলে ইডির মামলায় জামিন পেলেও জেলে থাকতে হবে পার্থকে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়
জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী। তাই চিকিৎসার জন্য জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।
প্রথমে পার্থকে হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিল্ডিং-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর সেখান থেকে কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সেই সময় প্রাক্তন মন্ত্রীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক ছিল। জেলবন্দি হওয়ার পর থেকেই পায়ের সমস্যাতেও ভুগছেন পার্থ।
জেল কর্তৃপক্ষ মারফৎ জানা গিয়েছে, সোমবার হঠাৎই জেলের মধ্যে অসুস্থবোধ করেন তিনি। জেলের চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন।
এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এখনও অবধি যা খবর তাঁকে কিছু সময়ের জন্য এসএসকেএমে ভর্তিও করানো হয়েছে।