পঞ্চায়েত পরিক্রমাঃ বনগাঁ ব্লক-ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন মুখ: দেশের সময়ঃ o৯,o৪,১৮ সোমবার দুপুরে বনগাঁ ছয় ঘরিয়া গ্রামে তৃণমূলের মিছিলে পা মেলালেন কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক৷মিছিল দেখে মনে হল বিজয় মিছিল,সামনের সাড়িতে নতুন মুখ,সব যেন ঠিক হয়েগেছে৷রাসতার পাশে ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক বেক্তির কথায় মিছিলেই মিশে আছে দ্বন্দবাঁধানোর লোকজন তারা এবার টিকিট পায়নি,, ! দলীয় দ্বন্দ রুখতে পারলে তৃণমূলের বিপুল জয় নিশ্চিত৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরে রাজনৈতিক দল গুলির প্রকৃত অবস্থান বোঝা যাবে৷ ১মে প্রথম দফার ভোট দক্ষিনবঙ্গের ১২টি জেলায়।যার মধ্যে রয়েছে উঃ ২৪পরগনার মত বড় জেলা৷ এখানে১৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত,২২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৫৭টি জেলা পরিষদের আসনে এবার ভোট হচ্ছে৷ অন্যান্য জেলার মতো এই জেলায় মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্রকরে সে রকম কোনও বড় গন্ডগোলের খবর নেই এখনও পর্যন্ত৷ বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া,সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগজ্ঞে কোথাও কোথাও বিরোধীদের সঙ্গে বিরোধ হলেও, প্রশাসন তা শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছে৷রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে৷তাদের বড় চমক জেলা পরিষদের আসনে দু’জন বিধায়ক কে প্রার্থী করা৷ প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডল এবং স্বরূপ নগরের দু’বারের বিধায়ক রীনা মন্ডল এবার জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। অন্যদিকে, বর্তমান সভাধিপতি রেহানা খাতুন, পূর্তকর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী সহ গত বারের জয়ীরা সিংহভাগই পুনরায় ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ৷ সংরক্ষনের জেরে দু’জন কর্মাধ্যক্ষ সহপঁচজন জেলা পরিষদ সদস্য এবার জেলা পরিষদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারছেননা।যদিও দল তাদের পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী করছেন৷ বসিরহাটে ১এ বিধায়ক বীনা মণ্ডলের পাশাপাশি গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বিবি ও দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল জেলা পরিষদ আসনে নতুন মুখ৷ বিরোধীদের মধ্যে সিপি এম,কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীরা জেলা পরিষদের আসন সহ পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোনয়ন জমা দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতের সব আসনে সাংগঠনিক দুর্বলতায় প্রার্থী দিতে পারেনি ৷আগামী ১৬ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর প্রকৃত ছবিটি ধরা পড়বে৷ অন্যদিকে বিজেপি সীমান্ত অঞ্চলের গ্রাম গুলিতে বেশি জোর দিচ্ছে৷ তাদের লক্ষ্য, প্রার্থী হতে না পেরে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের ভোট প্রক্রিয়ায় নিজেদের দিকে টেনে আনা।এছাড়াও গ্রামে টিকে থাকতে বিজেপিকে ভরসা করছে বাম ও কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মি সমর্থকদের একাংশ৷ যার উজ্বল উধাহরণ সীমান্ত ঘেষা বাগদা ব্লক৷ বনগাঁতেও বিজেপির জেলার নেতারা বিশেষ নজর দিয়েছে৷ পিছিয়ে নেই শাসক দল, তাদের চমক ,বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতে এবার তিন জন ,নতুন মুখ নিয়ে এসেছেন মোনোনিত প্রার্থী হিসাবে,তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট প্রসেনজীৎ ঘোষ,তিনি এবার মধ্য ছয়ঘরিয়ার ‘পশ্চিম পাড়া থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৷দীর্ঘ দিন শহর সহ গ্রামের মানুষের সাথে কাজ করার সুবাদে দল তাকে নিয়ে বেশ মুখিয়ে আছে,বলে জানান বর্তমান পঞ্চায়েতের দলনেতা সন্তোষ দাস৷ প্রসেন জীৎ বাবুর কথায়,গ্রাম আমার সব চাইতে প্রিয় ,এখান কার মানুষ জন, একটি পরিবারের মত থাকেন, তাই আমি আশাবাদি , শুধু আমাকে নয় নয় ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রার্থীদেরকে এলাকার মানুষ আর্শীবাদ করবেন এবং তৃণমূল সব আসনে জয়ী হবে৷ নরহরিপুর ও পীরোজপুর থেকে আরও দুটি নতুন মুখ পরিতোষ বিশ্বাস এবং দীপক ঘোষ, এই তিন প্রার্থী এবারের ছয়ঘরিয়া ঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের তুরুপের তাস বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ৷ এক স্থানীয় অটো চালকের কথায় এবারে পঞ্চায়েত প্রধান হতে পারেন প্রসেনজীৎ ঘোষ, প্রসেনজীৎ বাবু বলেন, প্রধান কে হবে দল ঠিক করবে৷ স্থানীয় সুত্রের খবর,এবারে অনেকে তৃণমূলের টিকিট পাননি,তারা বিজেপি র সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন,এই দন্দকে সামাল দিতে পারলে, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বিবিরোধীহীন পঞ্চায়েত বর্তমান রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা,কারন বিরোধীরা কার্যত সংগঠনও দিশাহীন৷/দেশের সময়ঃ