দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ওমিক্রনের আরও দুই নতুন উপপ্রজাতির খোঁজ মিলল ভারতে। বিএ১ ও বিএ২-এর পরে বিএ৪ ও বিএ৫ সাব-ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, হায়দরাবাদ ও চেন্নাইতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রথমে চেন্নাইতে এক মহিলার শরীরে বিএ৪ ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিলেছিল। এখন সংখ্যাটা আরও বেশি। করোনার অন্যান্য প্রজাতিগুলোর মধ্যে ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি সংক্রামক বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কাজেই আরও দুই নতুন উপপ্রজাতি চলে আসায় চিন্তা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
ভারত, সুইডেন, ব্রিটেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক সহ বিশ্বের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের এই দুই উপপ্রজাতি। ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, ৩০ বার জিনের গঠন বদলে ফেলেছে এই ভ্যারিয়ান্ট। ফলে খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
শুধু তাই নয়, ভাইরাসের এই প্রজাতিতে প্রোটিনের বিন্যাস এমনভাবে বদলেছে যে রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্টকেও ফাঁকি দিতে পারে। কোভিড টেস্টেও ধরা পড়বে না এই স্ট্রেন।
ওমিক্রনের মোট পাঁচটি উপপ্রজাতি ধরা পড়েছে এখনও অবধি–বিএ.১, বিএ.২, বিএ.৩, বিএ৪ ও বিএ৫। ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, নতুন এই প্রজাতিতে অন্তত ৩০টি মিউটেশন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিনেই (s) ৩০ বার অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড বদলে গেছে। মানুষের শরীরে এই প্রজাতি খুব দ্রুত ছড়াতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোভিডের নতুন দুই ভ্যারিয়ান্টকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
গত বছর মার্চ থেকে করোনার যে প্রজাতি ভারতে ছড়াতে শুরু করেছিল তা এখন অনেক বদলে গিয়েছে। সুপার-স্প্রেডার হয়ে উঠেছে, মানে অনেক দ্রুত মানুষের শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
সার্স-কভ-২ হল আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস। এর শরীর যে প্রোটিন দিয়ে তৈরি তার মধ্যেই নিরন্তর বদল হচ্ছে। এই প্রোটিন আবার অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে সাজানো। ভাইরাস এই অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলোর কোড ইচ্ছামতো বদলে দিচ্ছে। কখনও একেবারে ডিলিট করে দিচ্ছে।
এইভাবে বদলের একটা চেইন তৈরি হয়েছে। আর এই এই রূপ বদলের কারণেই নতুন নতুন প্রজাতির দেখা মিলতে শুরু করেছে।