ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার হুমকি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সির কাছে এল অজ্ঞাতপরিচয় মেইল। শুধু তাই নয়, নরেন্দ্র মোদী নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামও বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
দেশের সময়, ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করা হবে। উড়িয়ে দেওয়া হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এমনই এক হুমকি মেল পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ মেলটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তারা দেশের সব পুলিশ বাহিনী এবং গোয়েন্দা এজেন্সিকে সতর্ক করেছে।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধনের পাশাপাশি আমদাবাদের ওই স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপের ফাইনাল হওয়ার কথা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ক্রিকেট বিশ্বের নামজাদা লোকেদের থাকার কথা।
মেলটি পাঠানো হয়েছে দিল্লির জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে। ওই আসামীর মুক্তি দাবি করা হয়েছে মেলে। ইউরোপের কোনও দেশ থেকে মেলটি পাঠানো হয়েছে বলে আইপি অ্যাড্রেস থেকে জানতে পেরেছে এনআইএ।
হুমকি মেলটিতে ভারত সরকারের কাছে পাঁচশো কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই অর্থ না দিয়ে হামলা অবশ্যম্ভাবী। তদন্তকারীরা এর পিছনে খলিস্তানিদের হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। কানাডায় বসবাসকারী খলিস্তানি নেতা তথা শিখস ফর জাস্টিসের নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নু আগেই ভারতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ বানচালের হুমকি দিয়ে রেখেছে। ওই নেতার বিরুদ্ধে আমদাবাদ পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্তও চালাচ্ছে।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলে বলা হয়েছে, যদি সরকার দাবি মতো পাঁচশো কোটি টাকা এবং লরেন্স বিষ্ণোইকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আমদাবাদ স্টেডিয়াম বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে। আপনারা যতই সুরক্ষিত থাকুন না কেন, আমাদের থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন না। এই ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে এই ইমেলে যোগাযোগ করুন।
মুম্বই পুলিশের এক অফিসার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মেলটি ইউরোপ থেকে এসেছে। ওই পুলিশ অফিসার আরও বলেছেন, এটি একটি প্রতারণা মেল বলে মনে হচ্ছে। বিদেশে বসে কেউ আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। তবু গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা পর্যালোচনার কাজ শুরু হয়েছে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে জেলে গিয়ে তদন্তকারীরা কথা বলবে। উত্তর ভারতে একাধিক সংঘঠিত অপরাধে যুক্ত এই অপরাধীর বিরুদ্ধে জেলে বসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জেল থেকে সে নিজের বাহিনী চালায়, এই তথ্যও অজানা নয় তদন্তকারীদের।