দেশের সময় শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন তৃতীয় বার সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাবে বক্তব্য জানান তিনি। এক দশকের প্রধানমন্ত্রিত্বে মোদী কখনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। শুক্রবার নিজের বক্তব্য জানালেও প্রশ্নোত্তর পর্বের মুখোমুখি হননি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পরই আগামী ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মোদী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এটুকু বিশ্বাস করতে পারি, গত দু দফায় উন্নয়নের যে গতি বজায় ছিল, তৃতীয় দফার পাঁচ বছরেও তা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকেছিলেন। সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি, ৯ তারিখ বিকেলে শপথ গ্রহণ হলে ভালো হয়। তার মধ্যেই মন্ত্রীদের তালিকা আমি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেবো।’
সংসদের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএ-র সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা দলের ‘মার্গদর্শকমণ্ডলী’র সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব সেরে রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান মোদী। বিজেপি সূত্রের খবর, এনডিএ-র মোট ২১ জন নেতার সমর্থনপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানান তিনি।
চলতি বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হয় আডবাণীকে। রাষ্ট্রপতি এবং নরেন্দ্র মোদী নিজে এই প্রবীণ নেতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে স্মারক এবং মানপত্র তুলে দেন।
দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী এবং সবচেয়ে বেশি দিন বিজেপি সভাপতির পদে থাকা আডবাণীর জন্মদিনেও তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন মোদী।
বিজেপির অন্দরের অনেকেই মনে করেন, আডবাণী মোদীর রাজনৈতিক গুরু। গুজরাট হিংসার সময় তৎকালীন মু্খ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী সহ বিজেপির অন্য শীর্ষ নেতারা, কিন্তু শোনা যায় সেই সময় মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আডবাণী।
শুক্রবারই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎপর্ব সেরে রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান মোদী।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে জানান, আগামী দিনে নিজের লক্ষ্যে অটল থেকে দেশ সেবায় নিয়োজিত হতে চান তিনি। আগামী ৯ জুন শপথ গ্রহন অনুষ্টানের জন্য আবেদনের কথা জানান মোদী। যদিও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ব নেতাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। এক কথায় সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।