দেশের সময় ওয়েবডেস্ক : লক্ষ্য দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই তৃতীয়বার সরকারে বসার পর রাশিয়া গেলেন নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়াতেও ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন পুতিন। তারপরেই সাক্ষাৎ দুই রাষ্ট্রনেতার।
মোদী রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তার দু’বছর পর ভারত সফরে এসেছিলেন পুতিন। তার পরপরই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম রাশিয়া সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
লক্ষ্য ছিল মোদী-পুতিন সাক্ষাতের প্রথম ঝলকের দিকে। সোমবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার বেশকিছু ঝলক সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে। তাতে রয়েছে পুতিন-মোদীর আলিঙ্গনের ছবি।
জানা গিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে চায়ের আড্ডাতেও বসেছিলেন বারাণসীর সাংসদ, হাজির ছিলেন নৈশভোজে। সফরের প্রথম দিনে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্ত খুশির।’ চায়ে-পে চর্চার জন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিনকে। মঙ্গলবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন মোদী-পুতিন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পর রাশিয়া-ভারতের সমীকরণ কোনদিকে যায়, আলোচনায় উঠে আসে কোন কোন দিক সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যারই সমাধান হয় না। রাশিয়ায় গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মস্কোতে পুতিনের বাসভবনে নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে আলোচনা চলাকালীনই উঠে এসেছে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রসঙ্গ। আর তখনই মোদী ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান খোঁজার আবেদন জানান পুতিনের কাছে। বর্তমানে দু দিনের সফরে রাশিয়ায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুতিন। সূত্রের খবর, পুতিন উল্লেখ করেছেন মোদীর নেতৃত্বে ভারত কতটা এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের মধ্যে প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছে। সূত্রের খবর, ডিনার টেবিলে মোদী পুতিনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতিকে সম্মান জানানো উচিত। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। কূটনীতি ও আলোচনাই পথ দেখাবে।’
এছাড়া বিদেশ ভ্রমণের নামে যে সব ভারতীয়দের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, তাঁদের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি পুতিনকে জানিয়েছেন, কীভাবে ভারতীয়দের প্রতারণা করে রাশিয়ার আর্মিতে যোগ করানো হয়েছে। এই ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেছেন পুতিন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাশিয়ায় পৌঁছেছেন মোদী। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই মোদীর প্রথম সফর। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্তরুভ। ২২ তম ইন্ডিয়া-রাশিয়া সামিটে অংশ নেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবারই ইউক্রেনে মিসাইল হানায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৭ জনের। রাজধানী কিয়েভের সবথেকে বড় শিশু হাসপাতালকে নিশানা করে রাশিয়ার মিসাইল হানা হয় বলে জানা গিয়েছে। ৩৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭০ জন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিমানবন্দরে মোদীকে স্বাগত জানান রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ডেনিস মেন্টুরভ। তারপরেই
প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদী।