পদপিষ্টের ঘটনার সাত দিনের মাথায় বুধবার মহাকুম্ভে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি প্রয়াগরাজে ডুব দিলেন। এদিন সকালে প্রয়াগরাজে পৌঁছানোর পর থেকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদিও স্নানের সময় একাই দেখা গিয়েছে মোদীকে।
একটি বিশাল আকারের বজরা ধরনের জলযানে প্রথমে মোদী ও যোগী সঙ্গমঘাট পরিদর্শন করেন। তারপর সেই ভাসমান যানের ছোট্ট কুটীরে পুজোআচ্চা করেন তিনি। এদিন স্নানের সময় প্রধানমন্ত্রী পরেছিলেন একটি নেভি ব্লু রঙের ট্রাকস্যুট ও গেরুয়া জ্যাকেট। গলায় ছিল আকাশি নীল রঙের একটি উত্তরীয়। হলুদ রঙের একটি মোটা নাইলনের দড়ি ধরে তিনি হাঁটুজলেরও কম জলে দাঁড়িয়ে অবগাহনের চেষ্টা করেন। বার কয়েক ডুব দিয়ে রুদ্রাক্ষ মালা হাতে জড়িয়ে অঞ্জলি করে গঙ্গা ও সূর্য প্রণাম সারেন।
প্রধানমন্ত্রীর সারাক্ষণের সঙ্গী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভাসমান বজরায় ছিলেন। গত রাত তিনি প্রায় জেগেই কাটিয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্নানের খুঁটিনাটি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর মহাকুম্ভে স্নান করার সিদ্ধান্তে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস অভিযোগ করেছে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ভোটারদের প্রভাবিত করতেই কুম্ভস্নানের জন্য বুধবারকে বেছে নিয়েছেন। পরিকল্পনা করেই তিনি মকর সংক্রান্তি, মৌনী অমাবস্যা এবং বসন্ত পঞ্চমীর মতো আগের তিনটি শাহি স্নানের দিন প্রয়াগরাজে যাননি।
https://x.com/ANI/status/1887017252123500677?t=WiSkUlG0n1C45grlE3BNrA&s=19
যদিও বিজেপির দাবি, সাধারণ পুণ্যার্থীদের সমস্যা হতে পারে বলেই প্রধানমন্ত্রী বাড়তি ভিড়ের দিনগুলি স্নানের জন্য বেছে নেননি। বিজেপি আরও বলছে, বুধবার মাঘী অষ্টমী তিথি। এই দিনে ভীষ্ম শরশয্যায় শুয়ে ইচ্ছামৃত্যুর বাসনা পূরণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই কারণে এই দিনটি বেছে নিয়েছেন।