দেশের সময়,কলকাতা: ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের পর বিকেলে লালবাজার অভিযান করে বিজেপি। সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। লালবাজারের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে কাঁদানে গ্যাস ছাড়া হয়েছিল। তার ধোঁয়াতেই শরীর খারাপ হয়ে যায় সুকান্ত মজুমদারের। পরে তাঁকে অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মঙ্গলবার হয় নবান্ন অভিযান। কোনও রাজনৈতিক দল এই কর্মসূচির ডাক দেয়নি। তবে পরোক্ষভাবে এই অভিযানকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে লালবাজার অভিযান করা হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগ করে তুলে এই অভিযান করে তাঁরা।
বিজেপি নেতা অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, কলকাতা পুলিশ ‘হিটলারের বাহিনী’র মতো কাজ করছে। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ লাঠি মেরে বলেছে মারেনি। তাঁর কথায়, ‘‘কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে তারা। এটা ‘অপরাধ’। এরা জঘন্য। রণক্ষেত্র কেউ করতে চায়নি। ওরা করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করেছি। মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সারা দিন।’’
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার হয় নবান্ন অভিযান। কোনও রাজনৈতিক দল এই কর্মসূচির ডাক দেয়নি। তবে পরোক্ষভাবে এই অভিযানকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে লালবাজার অভিযান করা হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগ করে তুলে এই অভিযান করে তাঁরা। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে বহু জন আটক হয়েছেন। তাঁদের ছাড়াতে মঙ্গলবার বিকেলে লালবাজার ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে বিজেপি।
লালবাজারের অদূরেই অবশ্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। সেই সময়ে বিজেপির নেতারা অবস্থানে বসেন। সেখানেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। সেই সময়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে টিআর গ্যাস ছোড়া হয়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণও খুন কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। বিজেপির অভিযোগ, ছাত্র সমাজের স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিন ছাত্র সমাজের আন্দোলন দমন করতে কলকাতা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, জলকামান চালায়।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে গোটা
কলকাতাও হাওড়া শহরের একাংশ লন্ডভন্ড হয়ে যায়।