মিয়ানমারে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি ভারতের
ভূমিকম্প ও লাগাতার আফটারশকে বিধ্বস্ত মিয়ানমার। মৃত্যু পেরিয়েছে ১০০০, জখম বহু। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়ি, বহুতল। পড়শি দেশের এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ত্রাণ। এ বার মিয়ানমারে ভূমিকম্পে জখম ব্যক্তিদের চিকিৎসা করানোর জন্য ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির কাজে হাত দিল ভারত। সেই হাসপাতালে অন্তত ১১৮ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকতে পারেন।
মায়ানমারে ভূমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০২। আহত হয়েছেন ২,৩৭৬ জন। নিখোঁজ ৩০। এই অবস্থায় অন্যান্য দেশের কাছে সাহায্য চেয়েছে মায়ানমার। এই বিপর্যয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ইতিমধ্যেই ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মায়ানমারে পৌঁছেছে বিমান।
প্রতিবেশী দেশের সামরিক শাসকের সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী । এরই সঙ্গে ভারতের তরফ থেকে লঞ্চ করা হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ । ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে ভারতের জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যকে পাঠানো হয়েছে মায়ানমারে।
ব্রিগেডিয়ার এইচএস মাভি জানিয়েছেন, জোরকদমে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে মিয়ানমার পৌঁছবে ভারতীয় উদ্ধারকারীরা। আজ রাতের মধ্যেই সব জিনিসপত্র পৌঁছে গিয়ে, ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। যাতে আগামিকাল থেকে এই হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। আগ্রা থেকে মান্দালয়ে পৌঁছচ্ছে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির জিনিস এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
https://x.com/DrSJaishankar/status/1905959296107696397?t=-nG50C_2k83CWynpwaOkYA&s=19
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি টু ইট মিল, ওয়াটার পিউরিফায়ার, হাইজিন কিট, সোলার ল্যাম্প, জেনারেটর সেট, অত্যাবশ্যক ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
মায়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মান্দালয়ের রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের পাশাপাশি একটি সেতু ও বাঁধ ধসে পড়েছে। এর জেরে উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছ’টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মায়ানমার।
এদিকে ব্যাঙ্ককেও জরুরি অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যাঙ্ককের ‘প্রতিটি ভবন’ পরিদর্শন করা হবে। এদিকে এই আবহে ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।