রাজ্যে মোট ওয়ার্ড ২২৭৪ >> তৃণমূল১২৬৩ >> বিজেপি ৩৭
বনগাঁ পুরসভা মোট ওয়ার্ড ২২ : জয়ী> তৃণমূল ১৯> বিজেপি >১ > কংগ্রেস ১ > অন্যান্য ১ :
দেশের সময়: ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ১০৮টি পুরসভার ভোট গণনা। এর আগে চারটি পুরসভার নির্বাচনে চারটিই দখলে রাখতে পেরেছে শাসকদল। ১০৮টিতে একই প্রবণতা। রাজ্য জুড়ে অব্যাহত সবুজ ঝড়।
১০৮ পুরসভা নির্বাচনের (Municipal Election) গণনা শুরু হতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের (TMC) জয়ের খবর আসছে। ইতি মধ্যেই রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুরসভা দখলের খবর আসছে।
বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের ১৯ টি ওয়ার্ডে জয়ী হল তৃণমূল। অন্যদিকে, কংগ্রেস ১ টি, বিজেপি ১ টি এবং নির্দল ১ টি করে আসনে জয়ী হয়েছে। সরকারিভাবে এই ওয়ার্ডগুলির ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে যে ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে সেগুলি হল- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৯, ২০, ২১, ২২ নম্বর ওয়ার্ড। অন্যদিকে, কংগ্রেস ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে। বিজেপি জয়ী হয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর নির্দল ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী।
বনগাঁ পুরসভার মোট ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯ টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল৷ বিজেপি >১টি > কংগ্রেস ১ > অন্যান্য ১ টি ৷বনগাঁয় জয়ী তৃণমূলপ্রার্থী গোপাল শেঠ, নারায়ণ ঘোষ, বিজেপি-র দেবদাস মন্ডল এবং কংগ্রেস প্রার্থী ঋতুপর্ণা আঢ্য৷
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার মোট ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। ১টি ওয়ার্ডে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ও ২টি ওয়ার্ড গিয়েছে সিপিএমের দখলে।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দত্ত ১৭৫৪ ভোটে জয়ী হলেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী এই পুরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি তৃণমূল, ১ টি সিপিএম এবং ১ টিতে নির্দল প্রার্থী জয়ী হতে চলেছেন। অর্থাৎ গোবরডাঙা পুরসভা গঠন করতে চলেছে তৃণমূল।
এই জয় গোবরডাঙার মানুষকে উৎসর্গ করে শঙ্কর দত্ত জানান, মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের ফল এটি। মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ। গোবরডাঙার এলাকার মানুষের জন্য আরও উন্নয়নের কাজ করতে হবে বলে জানালেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত পুরসভার দখল নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩৫ আসন বিশিষ্ট বারাসত পুরসভায় তৃণমূল পেল ৩০ টি। অন্যদিকে বামেরা পেয়েছে ৩ টি এবং নির্দল পেয়েছে ২ টি আসন।
বারাসত পুরসভার যে আসনগুলি বামেদের দখলে এসেছে, সেগুলি হল— ১২, ২৭ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। নির্দলের দখলে গেছে ১৮ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ড। আর বাকিগুলি সব তৃণমূলের দখলে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য তৃণমূলের দুই চিকিৎসক প্রার্থীর জয়। তাঁরা হলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডা: সুমিতকুমার সাহা এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডা: বিবর্তন সাহা।
১০৮ পুরসভা নির্বাচনের (Municipal Election) গণনা শুরু হতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের (TMC) জয়ের খবর আসছে। এখনও একঘন্টা শেষ হয়েছে গণনা। তার মধ্যেই রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুরসভা দখলের খবর আসছে। এখনও পর্যন্ত ২৫টি পুরসভাতে জয় পেয়েছে তৃণমূল।
হলদিবাড়ি, রঘুনাথপুর, মেখলিগঞ্জ, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বোলপুর, রামপুরহাট সহ ২৫টি পুরসভাই এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের দখলে। তবে এই বিরোধীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে এসেছে বামেরা। নির্দল প্রার্থীদের মধ্যেও জয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভোটগণনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে একমাত্র রিটার্নিং অফিসার ছাড়া আর কেউই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। সর্বনিম্ন কাউন্টিং রাউন্ড ২ এবং সর্বোচ্চ কাউন্টিং রাউন্ড ১৮।
ভোটের ফল জানার পর রাজনৈতিক দলগুলির উচ্ছ্বাস নতুন নয়। কিন্তু সূত্রের খবর এবছর নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে বিজয়মিছিল করা যেতেই পারে, তবে তাকে ঘিরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।