দেশের সময়, বনগাঁ: স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রান্না করা মিড ডে মিলের খাবার খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে গোরুকে! এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে বনগাঁ পুরসভা।
বনগাঁ হাইস্কুলের মিড ডে মিলের খাবার গোরুকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হতেই সরেজমিনে বনগাঁ হাই স্কুল পরিদর্শনে যান বনগাঁ পুরসভার পুর প্রধান গোপাল শেঠ। বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে রাম বামের অর্থাৎ বিজেপি-সিপিআইএম-এর সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পুরসভার বিভিন্ন প্রতিনিধিদের নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান গোপাল শেঠ। এদিন তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বুধবার হাই স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নার কাজ করছিল তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপালবাবু বলেন, ‘রাঁধুনিরা নিজেদের খাওয়ার জন্যই উদ্বৃত্ত খাবার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
যেটা কোনও অন্যায় নয়, তাঁরা চুরি করে কিছু করেননি। বিদ্যালয়ের মধ্যেই কিছু বাম প্রতিনিধি রয়েছে তাঁরা বিদ্যালয়ের বদনাম করার জন্য রামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপপ্রচার করছেন’। রাম বামের সমন্বয়ে বিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে, বনগাঁ হাই স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন বনগাঁ পুরসভার পুর প্রধান গোপাল শেঠ।
পুর প্রধানের বিদ্যালয়ের পরিদর্শন নিয়ে বনগাঁ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুনাল দে বলেন, ‘উনি আমাদের স্কুলের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান স্যার মাঝেমধ্যেই বিদ্যালয়ের পরিদর্শনে আসেন। এর মধ্যে বিতর্কের কিছু নেই। বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি তিনি। উনি সাংবাদিকদের কিছু বলতে চেয়েছিলেন সেই জন্যই আজ এসেছিলেন’।
রাম বামের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের বদনাম করার চেষ্টা প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘কোনও ভুল হলে সেই ভুলটা শুধরে নেওয়া উচিত। আমি কখনও বিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করিনি আমি অনুরোধ করেছি, এখনও করছি যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ঘটনার তদন্ত হোক।
পুর প্রধান অযথা বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি টেনে আনছেন। যা অনভিপ্রেত। যদিও এটা তৃণমূল কংগ্রেসের স্বভাব যে কোনও কিছু হলেই সেখানে বিরোধীদের চক্রান্ত দেখা হয়’। সেই সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেছেন দেবদাস মণ্ডল।