পিয়ালী মুখার্জী : ফেসবুকের নাম বদলে Meta রাখলেন সিইও মার্ক জুকারবার্গ। বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল নাম বদল করে নতুন রূপে আসতে পারে বিখ্যাত এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। এইদিন সেই তত্বেই কার্যত শিলমোহর দিলেন মার্ক জুকেরবার্গ। বর্তমানে বিশ্বে ২.৯ বিলিয়ন মাসিক গ্রাহক রয়েছে ফেসবুকের।
ফেসবুকের নাম বদলে ‘মেটা ‘ (Meta) রাখলেন সিইও মার্ক জুকারবার্গ। বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল নাম বদল করে নতুন রূপে আসতে পারে বিখ্যাত এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। এইদিন সেই তত্বেই কার্যত শিলমোহর দিলেন মার্ক জুকেরবার্গ। বর্তমানে বিশ্বে ২.৯ বিলিয়ন মাসিক গ্রাহক রয়েছে ফেসবুকের। তবে নাম বদলের সঙ্গে ফেসবুকের চারিত্রিক কোনও পরিবর্তন হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। মার্ক জুকারবার্গ দীর্ঘদিন ধরে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে পুনরায় ব্র্যান্ড করতে চেয়েছিলেন। এই জন্য সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন পরিচয় দিতে চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবেই সেই ঘোষণা তিনি করে দিলেন।
কয়েকদিন আগেই মার্ক জুকারবার্গ বলেন, মেটাভার্স হচ্ছে ভবিষ্যত এবং সে কারণেই তিনি এর ওপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। তিনি সম্প্রতি এও বলেছেন, “ভবিষ্যতে আমরা এমন একটি ভার্চুয়াল পরিবেশে কাজ করব যেখানে ডিজিটাল স্পেসে মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবে।” বর্তমানে, কারো সঙ্গে দেখা বা কথা বলার জন্য ভিডিও কল বা অডিও কল করার বিকল্প রয়েছে।
কোম্পানি এটি পরিবর্তন করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে মেটাভার্স আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ এও বলেন, ফেসবুকের মেটাভার্স দেখে মনে হবে আপনি আসলে কারও সঙ্গে একই জায়গায় উপস্থিত আছেন। ফেসবুক প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে মেটাভার্স আনতে পারে। মেটা-তে প্রতিটি ডিভাইস থেকে অ্যাক্সেসযোগ্য হবে। এমনকি মেটাতে কাজের জন্য অথবা বন্ধুদের সঙ্গেও উপভোগ করতে পারবে।
এখন কোম্পানিটি তার নাম পরিবর্তন করেছে, এটি ছাড়াও অনেক লোকের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও খুলেছে। ফেসবুক শুধু নিজের রিব্র্যান্ডিংই করছে না, এর পাশাপাশি প্রায় ১০ হাজার নতুন লোক নিয়োগেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সমস্ত লোকেরা মেটাভার্সের সাথে একটি ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি করতে সাহায্য করছে।