দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মালবাজারে নেমেই মাল নদীতে বিসর্জনের সময় দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
স্বজনহারা ৬টি পরিবারের সদস্যদের বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শোকাহতদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। সোমবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার বড়দীঘি হাইস্কুল মাঠে অবতরণ করে।
তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান মোড় থেকে বড়দীঘি হাইস্কুল পর্যন্ত ২ কিমি রাজ্য সড়কের দু’ধারে অসংখ্য মানুষ দুপুর থেকেই নেত্রীকে একবার দেখার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক, মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, আইজি উত্তরবঙ্গ দেবেন্দ্র প্রসাদ সিং সহ অন্যান্যরা। মুখ্যমন্ত্রী এরপর যান মাল নদীতে হড়পা বানে নিহতদের বাড়িতে।
স্বজনহারা ওই ছয় পরিবারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের যন্ত্রনার কথাও তিনি শোনেন। তিনি বলেন, সবার বাড়িতেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু দু’টি পরিবার নেই। তাই ইচ্ছে থাকলেও তিনি দেখা করতে পারলেন না।
এরপর ফিরে আসেন তেশিমলা এলাকার একটি রিসর্টে। এখানেই তিনি রাত কাটিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। দুর্যোগের রাতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে যুবকেরা হড়পা বানে ভেসে যাওয়াদের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন, এই বৈঠকে তাদেরও যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,দশমীর দিন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল আট জনের ৷ তবে নিজেদের জীবন বাজি রেখে ওই দানবীয় জলের তোড়ের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে এনডিআরএফের সঙ্গে উদ্ধারে নেমেছিলেন অনেক স্থানীয় যুবকও। তাঁদের মধ্যে দারা সিং, মানিক মহম্মদরা খবরের শিরোনামেও এসেছিলেন।
সোমবার মালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, মানিকদের মঙ্গলবারের সরকারি বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
কৌতূহল হল, আগামীকাল সরকারি বৈঠকে ডেকে মানিক মহম্মদদের কি সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন মমতা? এ ব্যাপারে সরকারিভাবে এদিন কিছু না বলা হলেও অনেকেই আন্দাজ করছেন তেমনটা হতে পারে। আবার এও হতে পারে চাকরি না দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মান ও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হতে পারে মালবাজারের ত্রাতাদের।