‘বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত’। লন্ডনে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে পোস্ট করলেন একটি শংসাপত্রের ছবি। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, বাংলার বিশেষ কৃতিত্বের জন্য প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই সাফল্যের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন মমতা।
গত ১৯ মার্চ রাজ্য বিধানসভায় স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দেশের সেরা পশ্চিমবঙ্গ।
কয়েকদিনের ব্যবধানে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ’ (আইসিএমআর) এর রিপোর্ট যেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিতে সিলমোহর বসিয়ে দিল। আইসিএমআর এর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী পূর্ব ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসএসকেএম। অর্থাৎ সেরা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নিরিখে শীর্ষে বাংলার দুই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ।

বাংলার এই সাফল্য সোমবার রাজ্যবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সরকারি সফরে লন্ডনে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পূর্ব ভারতের সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন! আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে বাংলায় দেশের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে যা সবার জন্য একটি মডেল।’

https://x.com/MamataOfficial/status/1904183829948211454?t=tVtiICEXGoBfNY3FyLx6Fg&s=19
আসলে দেশকে টিবি বা টিউবারকিউলোসিস থেকে মুক্ত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। আর তাতেই সামিল হয়েছে বাংলাও। সেই ক্ষেত্রে বাংলা যেভাবে কাজ করেছে, তারই প্রশংসা করেছে কেন্দ্র।যক্ষ্মা (TB) নির্মূলে অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বাংলার প্রশংসা করেছে। চলতি বছরের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিস (টিবি) নির্মূল করতে একশো দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তাতে ভাল কাজের জন্য দেশের ৩৩টি রাজ্য-কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সেরা ২০১টি জেলার মধ্যে স্বর্ণ পদক পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।ব্রোঞ্জ পুরস্কার পেয়েছে নদিয়া (Nadia)।
সোমবার রাতে বাংলার এই সাফল্য রাজ্যবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সরকারি সফরে লন্ডনে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাতে টুইটে যক্ষা নির্মূলে বাংলার দক্ষতায় কেন্দ্রের প্রশংসার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যক্ষ্মা (TB) নির্মূলে অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বাংলার প্রশংসা করেছে। চলতি বছরের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিস (টিবি) নির্মূল করতে একশো দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তাতে ভাল কাজের জন্য দেশের ৩৩টি রাজ্য-কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সেরা ২০১টি জেলার মধ্যে স্বর্ণ পদক পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।ব্রোঞ্জ পুরস্কার পেয়েছে নদিয়া ।
সোমবার রাতে বাংলার এই সাফল্য রাজ্যবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সরকারি সফরে লন্ডনে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাতে টুইটে যক্ষা নির্মূলে বাংলার দক্ষতায় কেন্দ্রের প্রশংসার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান করার পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী মৃত্যুহার কমানোর দিকে বাড়তি নজর দিয়েছেন। এজন্য নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ১০০ দিন ধরে বাড়ি বাড়ি চলা অভিযানে নতুন করে কয়েক হাজার যক্ষ্মারোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, যাদের শরীরে যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল, তাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গিয়ে কফ ও বুকের এক্স-রে-এর মতো প্রয়োজনীয় নানা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাঁদের যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়ছে, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রশাসনের তরফে যক্ষ্মা সংক্রান্ত ভ্রান্তি দূর করতে সচেতনতা মূলক প্রচারও করা হচ্ছে। এজন্য শিক্ষা, শ্রম, রেল, জাতীয় সড়ক, পরিবহণ-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের সঙ্গে রাজ্য যৌথ কর্মসূচি নিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই চলতি বছরের মধ্যে বাংলা তথা দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করা।
Proud moment for Bengal!
The Ministry of Health & Family Welfare, Government of India has lauded our state for its outstanding performance in Additional TB Case Notification under the 100 Days TB Mukt Bharat Abhiyaan.
Early detection is key to eradication, and Bengal’s relentless efforts in expanding healthcare outreach and ensuring timely intervention are showing tangible results. My heartfelt gratitude to the dedicated healthcare workers who made this possible.

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ‘টিবি হারেগা, দেশ জিতেগা’৷ সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। টিবি অর্থাৎ যক্ষ্মা রোগীর নিরীক্ষণ ও সেই সঙ্গে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে সেই কাজ।