পার্থ সারথি সেনগুপ্ত কলকাতা : সন্দেশখালি কাণ্ডের পর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার পর পরই হাবড়ায় প্রশাসনিক সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন সূত্রের খবর।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা দুটি দীর্ঘদিন ধরে অস্থির হয়ে রয়েছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে এখন জেলা হেফাজতে রয়েছেন হাবড়ার বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তথা বালু।
জ্যোতিপ্রিয় ভাল সংগঠক ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে বালু গ্রেফতার হওয়ায় হাবড়া কার্যত অভিভাবকহীন। শুধু বালু নয়, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও ইডি তল্লাশি করেছে। বারাসত লোকসভা আসনের মধ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির রাডারে রয়েছে আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতা।
আবার বারাসতের পর এখন বসিরহাট মহকুমাও আন্দোলিত। সন্দেশখালি কাণ্ডে বেআব্রু হয়ে গেছে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে এক শ্রেণির তৃণমূল নেতার বিচ্ছিন্নতা। তার ফলে সরকার তড়িঘড়ি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসিয়ে সেই বিচ্ছিন্নতা দূর করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করেছে।
গত ৬ তারিখ বারাসতে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক সভা হল তারই পাল্টা। মোদী সন্দেশখালির ঘটনাকে সামনে রেখে শাসক দলের মহিলা জনভিত্তিতে ফাটল ধরাতে চাইছেন। মমতা চাইবেন সেই ধস রুখে মহিলা জনভিত্তি অটুট রাখতে।
নবান্ন সূত্রের খবর, এহেন পরিস্থিতিতে ১২ মার্চ বারাসতের হাবড়ায় প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন। তাঁর আগামীর ভাবনার কথা বলবেন। ডেলিভারি মেকানিজমে কোনও খামতি থাকলে তা দূর করার বার্তা দেবেন। সেই সঙ্গে বারাসত-বসিরহাটে মহিলাদের আস্থা ধরে রাখতে সরকারি প্রকল্পের কথাও ব্যাখ্যা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।