দেশের সময় , পূর্ব বর্ধমান: আবার জেলা সফরে গিয়ে আঘাত পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমান থেকে ফেরার পথে কপালে সামান্য আঘাত পান তিনি। বর্ধমানে গোদার মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখান থেকে গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ কোনও কারণে গাড়ির চালককে ব্রেক কষতে হয়। সেই ব্রেক কষার কারণে ঝাঁকুনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কপালে সামান্য আঘাত পান বলে সূত্রের খবর।
বুধবার কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় ফেরার সময়ে হেলিকপ্টারের পরিবর্তে গাড়িতে চেপে কলকতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ি জিটি রোডে ওঠার সময়ে চালক আচমকা জোরে ব্রেক কষেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কপাল উইন্ড স্ক্রিনে ঠুকে যায়। তবে খুব জোরে আঘাত লাগেনি বলেই দাবি করেছে পুলিশ।
এদিন বর্ধমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর কথার ছত্রে ছত্রে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা হাততালি দেন। মুখ্যমন্ত্রীকেও বেশ উজ্জীবিত দেখায়।
গত বছর ২৭ জুন উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন ক্রান্তির সভা থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু কপ্টার উড়ান নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তা দুর্যোগের কবলে পড়ে। ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের পর কপ্টারে সিঁড়ি পর্যন্ত লাগানোর সুবিধা ছিল না। তাই মুখ্যমন্ত্রী কপ্টার থেকে লাফিয়ে নামার সময়ে চোট পান।
উত্তরবঙ্গে চোট পাওয়ার পর তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। তার পর ডাক্তররা পরামর্শ দেন, তিনি যেন নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করেন। খুব বেশি হাঁটাহাটি করা যাবে না। পুজোর সময়ে টানা দশ দিন তাই বাড়িতেই থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অফিসিয়াল কাজকর্মও করেন বাড়ি থেকে।
তবে তাঁর পারিবারিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের সমস্যার নিরাময় হয়ে গিয়েছে। এখন আগের মতই হাঁটাহাটি ও যোগ ব্যায়াম করছেন তিনি। গত সোমবার কলকাতায় শাসক দলের ডাকা সংহতি মিছিলে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ হন হন করেই হাঁটছিলেন তিনি। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে কয়েক মাসেই পায়ে চোট লেগেছে তাঁর।