দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জেলা সফরে গিয়ে মাঝেমধ্যেই কখনও চা কখনও চপ বানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

বাড়ির কালীপুজোয় নিজে ভোগ রান্না করে খাওয়ান সবাইকে। এবার ঝাড়গ্রাম থেকে সভা সেরে ফেরার পথে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে আধঘণ্টায় একশো চপ কবে বিক্রি হয়েছে স্মৃতি হাতড়েও তা মনে আনতে পারছেন না বুদ্ধদেব মাহাত। মঙ্গলবার বেলপাহাড়িতে সভা করে ঝাড়গ্রাম ফেরার পথে মাগুড়া গ্রামে পথের পাশে চপের দোকান দেখে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই দোকানটিই বুদ্ধদেবের।

দোকানে ঢুকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই দোকানের সামনে তখন থই থই ভিড়। একা দোকানি কী করে সামলাবেন এত ক্রেতাকে! স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতেই এরপর দোকানির পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাত লাগান চপ বিক্রিতে।

শীতের বিকেলে বেঞ্চে বসে তখন আড্ডা চলছে সাধারণ মানুষদের। দোকানে ঢুকে হাতা নিয়ে চপ ভাজতে শুরু করেন মমতা। কিছুক্ষণের মধ্যে চপ ভেজে সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী, আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন তিনি। কাগজে ঠোঙা করে সবাইকে আলুর চপ এবং ডিমের ডেভিল তুলে দেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে আশেপাশে ভিড় জমে যায়। স্থানীয় বাচ্চাদের হাতে ক্যাডবেরি তুলে দেন মমতা। চপ এবং চকলেট বাবদ বুদ্ধদেববাবুর হাতে বেশ কিছু টাকাও তুলে দেন তিনি। বাদ পড়েনি সেখানে থাকা সাংবাদিকরাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই একশ চপ বিক্রি হয়ে যায় বুদ্ধদেব মাহাতর দোকানে।

কর্মসংস্থানে দিশা দেখাতে আগেও বহুবার বেকার যুবকদের চপ তৈরি করে বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরজন্য বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার নিজে হাতে চপ বিক্রি করে মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন যা তিনি বিশ্বাস করেন সেটাই বলেন ও করে দেখান।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন আচমকা দোকানে ঢুকে পড়া ও তার পরবর্তী কিছুটা সময় যেন ঘোরের মধ্যে ছিলেন মাগুড়া গ্রামের বুদ্ধদেব। না অনেক অভাব অভিযোগ থাকলেও দিদিকে যে কিছুই বলা হল না তাঁর। খুশি যেমন হয়েছেন তেমনই অবাকও হয়েছেন বুদ্ধদেব৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here