
Mamata Banerjee’এপার বাংলায় কেউ উত্তেজনায় পা দেবেন না,’ বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে সতর্ক মমতা, সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা: দেখুন ভিডিও
পেট্রাপোল : বাংলাদেশের রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে এপার বাংলাকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশছাড়া হয়েছেন। তিনি এই মুহূর্তে দিল্লির সেফ হাউসে এসে রয়েছেন। বাংলাদেশে চলছে অবাধ লুটপাট, ভাঙচুর। এই পরিস্থিতিতে এদিন মমতা বলেন, ‘আমাদের বাংলায় সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। কেউ যেন কোনও উত্তেজনায় পা না দেয়।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা দুটো রাষ্ট্রের বিষয়। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা আমরা মানব।’
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরও জ্বলছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলি। উত্তরে পেট্রাপোল সীমান্ত,চ্যাংড়াবান্ধা, হিলি থেকে দক্ষিণের সন্দেশখালি, সর্বত্র এক ছবি। সীমান্তে হাইঅ্যালার্ট জারি করেছে বিএসএফ।
পেট্রাপোল সীমান্তে তৎপর ভারতীয় সেনা। সীমান্তের দু’পারেই দেশে ঢোকার তৎপরতা। হরিদাসপুরে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি। দুপুরের পর থেকে পেট্রাপোলে চাপানউতর শুরু হয়।
বেনাপোল, বাংলাদেশ সীমান্ত। হঠাৎ সেখানে বাজি ফাটতে থাকে, হইচই শুরু হয়।যদিও পেট্রাপোলের ভারতীয় সেনা বিষয়টি পুরোপুরি নজরে রাখে। আপাতত পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক বলে জানা গেছে বিএসএফ সূত্রে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম দফার কোটাবিরোধী আন্দোলন চলার সময়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, সে দেশ থেকে কেউ সীমান্তে এসে আশ্রয় চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন না। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে জাতীয় স্তরে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। এমনকি শেখ হাসিনাও এই কথা সহজভাবে মেনে নেননি। অভিযোগ উঠেছিল, এটা দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের ব্যাপার, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার এক্তিয়ার নেই।
সেইবার অবশ্য অভিযোগের মুখেও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো তিনি ভালই বোঝেন, যা বলেছেন জেনেই বলেছেন। তবে এবার দেখা গেল, আগেভাগেই কাউকে এই বিষয়ে কোনও রকম প্ররোচিত না হতে সতর্ক করলেন মমতা। অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের বিপুল গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে যে বিভাজনের চোরা স্রোত বইছে, তার প্রভাব পড়তে পারে এপার বাংলাতেও। সেই কারণেই এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও মন্তব্য না করে, রাজ্যবাসীকেও সে ব্যাপারে সাবধান করছেন আগে থেকে।
বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে সোমবার পেট্রাপোল স্থল বন্দরে আমদানি ও রপ্তানির কাজ চলেছে ধীরগতিতে ।