দেশের সময় কলকাতা : লোকসভা ভোটের আগে আরও অস্বস্তিতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। শনিবার সকাল থেকে কলকাতার একটি আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। প্রায় ৮ থেকে ১০ জন অফিসার রয়েছেন সেখানে। সূত্রের খবর, যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, সেটি মহুয়া মৈত্রের বাবার। পেশায় ব্যবসায়ী ডি এল মৈত্র এই ফ্ল্যাটে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা আবাসন। সিবিআই অফিসারদের হাতে দেখা গিয়েছে প্রিন্টার। বিশেষ কোনও নথির খোঁজে তদন্তকারীররা ওই বাড়িতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডের অভিযোগে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে গত ১৯ মার্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল।  লোকপালের সেই নির্দেশ মেনে মহুয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার মহুয়ার কলকাতার বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই।

সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের একটি দল শনিবার সকালে আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামে একটি আবাসনে যায়। ওই আবাসনের ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার বাবা দ্বীপেন্দ্রলাল মৈত্র। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এব্যাপারে মহুয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

প্রতিক্রিয়া এলে প্রতিবেদনে আপডেট করে দেওয়া হবে। 
অন্না হজারের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনে দুর্নীতি বন্ধ করতে ২০১৩ সালে লোকপাল বিল পাশ হয়েছিল সংসদে। সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্তের অধিকারও রয়েছে লোকপালের। বর্তমানে লোকপালের চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি প্রদীপ কুমার মহান্তি।

মহুয়ার বিরুদ্ধে নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল সুনির্দিষ্ট। এক, শিল্পপতির থেকে টাকা ও দামি উপহার নিয়ে তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষায় সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। দুই, ওই শিল্পপতিকে সংসদের ওয়েবসাইটের লগ-ইন পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া।

এ ব্যাপারে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছেও অভিযোগ করেছিলেন নিশিকান্ত। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার এথিক্স কমিটিও এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। কমিটি নিশিকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মহুয়াকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মহুয়া অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁকে নোংরা প্রশ্ন করা হচ্ছিল। তাই তিনি কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই সংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করছিল এথিক্স কমিটি।

এরপরই তদন্তে নামে লোকপাল। সম্প্রতি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে লোকপাল জানিয়েছিল, “আমরা সিবিআই কে নির্দেশ দিচ্ছি, ধারা ২০(৩)(এ) এর অধীনে করা অভিযোগের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত  শুরু করতে।” আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here