১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা ভোট ২০২৪। শনিবার ১ জুন নির্বাচনের শেষ দফা। সপ্তম দফায় ভোট হবে ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভোট হবে উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও চণ্ডীগঢ়ে। মোট ৯০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে শনিবার। ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রবিশঙ্কর প্রসাদ, কঙ্গনা রানাউত, অনুরাগ ঠাকুর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চরণজিৎ সিং চান্নির মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা রয়েছেন এই দফায়।
শেষ দফায় কলকাতার ভোট। সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট, দমদমের মতো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। শনিবার সপ্তম দফা তথা শেষ দফার লোকসভা ভোট। এ রাজ্যের মোট নয় কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। তালিকায় আছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর। জোর লড়াই প্রতিটি কেন্দ্রে।
সপ্তম দফায় বিশেষ নজরে অভিষেক, সুদীপ, তাপস, সৌগত, সুজন ও রেখারা:
দেশের সময় :ভাঙড়ে ভোটের সকালে চলল গুলি, মিলল বোমা ।
সপ্তম বা শেষ দফায় উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, যাদবপুর, ডায়মন্ড হায়বার, মথুরাপুর ও জয়নগরে আসনে ভোট হচ্ছে। সব আসনেই জোরদার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রয়েছে। তার মধ্যেও বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে ভাঙড়ে। কারণ সেখানে প্রায় প্রতি নির্বাচনেই হিংসার ঘটনা ঘটে। এই নির্বাচনও বাদ গেল না।
বিপুল বাহিনীর নজরদারি থাকার পরও ভোট শুরুর আগে থেকেই উত্তেজনা রয়েছে ভাঙড়ে। শনিবার সকাল থেকেও উত্তপ্ত সেই এলাকা। আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ-এর উপর হামলা করেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা, এমনই অভিযোগ। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
ভাঙড়ের সাতুলিয়ায় গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। পাশপাশি বুথের পাশেই বোমা উদ্ধার হয়েছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন স্থানীয় আইএসএফ প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আইএসএফ দাবি করেছে, তাঁদের এক কর্মীর পায়ে গুলি লেগেছে। কিন্তু তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তৃণমূল বাধা দিয়েছে।
সিপিএমের এজেন্ট সেজে বুথে তৃণমূল নেতা! অভিযোগ ডায়মন্ড হারবারে, মুখ লুকিয়ে পালান ব্যক্তি ।
‘গন্ডগোল করার চেষ্টা করছেন আপনি’, যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজনকে ঘিরে বিক্ষোভ ।
বরানগরে অশান্তি, তন্ময়কে ধাক্কা
বরাহনগরের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরলেন। বরাহনগরে বিকেসি কলেজের বুথে গিয়েছিলেন তন্ময়। শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, তিনি সেখানে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন। তৃণমূল তার প্রতিবাদ করায় দু’পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দ্রুত ঝগরা গড়ায় হাতাহাতিতে। তন্ময়কে ধাক্কা দিতে দেখা যায় তৃণমূলের কর্মীদের। পাল্টা তিনিও তেড়ে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভোট শুরুর ঠিক পর থেকেই উত্তেজনা আরও বাড়তে শুরু করেছিল। তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠি নিয়ে কার্যত তাড়া করেন তাঁদের সকলকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাস্তায় বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, আইএসএফ তাঁদের কর্মীদের মারধর করেছে। এক তৃণমূল কর্মীর মাথাও ফেটেছে।
ডায়মন্ড হারবার:
এক পাশে মাঠ। অন্যদিকে পুকুর। সেই রাস্তা দিয়েই দৌড়চ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতিকুর রহমান। আর তাঁর সামনে ছুটছেন আরও এক কালো জামা পড়া ব্যক্তি। প্রতিকুরের অভিযোগ ওই ব্যক্তি এসেছিলেন ফলস ভোট দিতে। তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। বাম প্রার্থীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দিলেন দে ছুট।
কুলতলি:
অশান্তির খবর আসছে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র থেকেও। সেখানে কুলতলীর মরীগঞ্জে ব্যপক গন্ডগোল। বিজেপির এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। ইভিএম জলে ছুড়ে ফেলে দিলেন গ্রামবাসী। কাঠগড়ায় তৃণমূল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পক্ষের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ভোট দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভোট দেওযার পর মিঠুন বাইরে বের হতেই উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান। কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বেলগাছিয়ার দত্ত বাগান ২২ নম্বর এলাকার ঘটনা।
বেলগাছিয়ায় বিজেপি তারকা প্রচারক তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘিরে চোর স্লোগান। এ দিন সকালে ভোট দিতে যান অভিনেতা। ভোটের লাইনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আচমকাই তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে।
ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। সবাইকে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আবেদন ।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সোনারপুর উত্তর বিধানসভার খেয়াদহ-২ অঞ্চলের ৩০ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি এজেন্টের নথিপত্র কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি সেক্টর অফিসারকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।
মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদার ভোটদান করলেন।
ভোটের সকালেই আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী।
কুলতলির মেরিগঞ্জে ইভিএম জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চল ৪০, ৪১ নম্বর বুথে এজেন্টদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না, গ্রামের ভিতরে আটকানো হচ্ছে ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
শনিবার বাংলার এই ৯টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে বিশেষ নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলি হল, কলকাতা, বসিরহাট ও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র। বাড়তি নজর রয়েছে ভাঙড়েও। সেখানের জন্য আলাদা করে মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এছাড়া বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি বিধানসভার প্রতিও বাড়তি নজরদারি রেখেছে প্রশাসন। বসিরহাটে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে ১১৬ কোম্পানি। এছাড়াও ৩ হাজার ১২০ জন রাজ্য পুলিশ কর্মী রয়েছেন।
জ্যোতি বসু টানা ৬ বারের বিধায়ক ছিলেন বরাহনগরে, সেখানে এবার সজল-সায়ন্তিকার লড়াই।
বিজেপি এজেন্টকে বাধা! কাশীপুরে যেতেই তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে তাপস রায়
সপ্তম দফা ভোটের সকালে খাস কলকাতায় বিজেপির এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। ঘটনাস্থল কাশীপুর।
ভোট শুরু হওয়ার কিছু পরেই কাশীপুর ২৬ নং বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে খবর আসে। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তিনি পৌছতেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাত থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দিয়ে এসেছেন ভোটারদের। পাশাপাশি সকালে যারা বুথে এসেছেন সেই ভোটারদের প্রভাবিত করছে তৃণমূল।
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবসার্ভার, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এরপরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কিছু তৃণমূল কর্মী। শুরু হয় বচসা।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, উত্তর কলকাতায় সুস্থভাবে ভোট হচ্ছে। তাপস রায় সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে শুধু উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে। এই আসনে বিজেপির কিছুই নেই, তাই এসব করে খবরে থাকার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানোর যে অভিযোগ করছে বিজেপি, সেটাও অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের বক্তব্য, তৃণমূল যদি এলাকায় উন্নয়ন করে থাকে তাহলে বাধা দেওয়ার দরকার পড়ে না। সকলে শান্তিপূর্ণ ভোট চায়। কিন্তু গতকাল রাত থেকে একাধিক জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে। সকাল থেকে বেশি মাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। তবে তাপস বলেন, অভিযোগ করার পরই সেখানে বাহিনী পৌঁছেছে।
‘৪ জুন ফের একবার মোদী সরকার’, ভোট দিয়ে মন্তব্য যোগীর
লোকসভা ভোটের লাস্ট ল্যাপ। অন্তিম দফার ভোটগ্রহণ শনিবার। দেড়মাস ধরে চলা ১৮তম সাধারণ নির্বাচনের শেষ পর্ব। ভোট সপ্তমীতেই শেষ হবে হাজার হাজার প্রার্থীর পরীক্ষা। তারপর অপেক্ষা রেজাল্টের। আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলগণনা। তার আগে শনিবার সন্ধ্যায় বুথফেরত সমীক্ষা মিলবে ফলাফলের ইঙ্গিত।
কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী। তবে শেষ দফা নির্বাচনের সকালেও ব্যতিক্রম হল না। বাকি ছ’টি দফার মতো এদিনও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে দেশবাসীকে ভোটদানের আর্জি জানিয়ে হল পোস্ট।
https://x.com/narendramodi/status/1796715966229053461?t=ooKVDa9ynx3wIlxcZ4fLbA&s=19
গোরক্ষপুরে ভোট দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
https://x.com/ANI/status/1796718716933361822?t=CNsRXg1qTWPSDYAgyGT2gw&s=19
সকাল সকাল ভোটদান BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার।
https://x.com/ANI/status/1796719222585995405?t=AP56pwgu0udBb87tZEqt1g&s=19
ভোটদানের আগে বারাণসীতে মন্দিরে পুজো দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই।
পাটলিপুত্রের BJP সাংসদ রামকৃপাল যাদব ভোটদানের আগে গোসালায় গোরুদের ঘাস খাওয়ালেন।
ভোটদান ক্রিকেটার তথা আপ সাংসদ হরভজন সিংয়ের।
ভোট দিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, স্ত্রী রাবরি দেবী এবং মেয়ে রোহিনী আচার্য। তিনি সারন লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন।
ভোট দিলেন গাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী আফজল আনসারি।
শনিবার সপ্তম দফায় ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ
শেষ দফায় সাতটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট
উত্তর প্রদেশের ১৩টি, বিহারের আটটি, ওডিশার ছ’টি, ঝাড়খণ্ডের তিনটি, পঞ্জাবের ১৩টি , হিমাচলের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের ন’টি এবং চণ্ডীগড়ের এক মাত্র আসনে ভোট হবে এই দফায়।
সপ্তম দফায় ৫৭ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৯০৭।