দেশের সময় বনগাঁ : পঞ্চম দফার ভোটকে ঘিরে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর আসছে। কোথাও বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা, কোথাও ভোট কেন্দ্রের সামনেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে।
এসব অভিযোগের মাঝে এবার তৃণমূল প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোপালনগর গিরিবালা বালিকা বিদ্যালয়ের ১১৪ নম্বর বুথে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই মোবাইলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।
বিশ্বজিৎ বলেন, “প্রার্থী হিসেবে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ঢোকার অধিকার রয়েছে। সঙ্গে প্রমাণপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ১১৪ নম্বর বুথে ঢুকতে দেয়নি। আসলে বিজেপি নেতাদের কথা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করছে. সেটা স্পষ্ট। কমিশনকে জানিয়েছি।”
যদিও এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে অভিযোগকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট বুথে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ অবশ্য কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘প্ররোচনায় পা দেওয়ার দরকার নেই।’
অন্যদিকে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, “রাজ্য পুলিশকে দিয়ে বাহিনীকে ভুল পথে পরিচালিত করে ভোট লুঠের চেষ্টা করছে তৃণমূল। নজর ঘোরাতেই তৃণমূল প্রার্থী এই সব মিথ্যে অভিযোগ আনছেন।”
ভোটের সকাল থেকেই অশান্তি বনগাঁ লোকসভার একাধিক জায়গায়। নদিয়ার গয়েশপুরের বেদীভবনের কাছে রাস্তার উপরেই বিজেপির গয়েশপুর শহর মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী জয়ন্ত জয়ধরও। আর তার পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে কল্যাণী এআইএমএস হাসপাতালে যান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর দাবি, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রশাসন ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’।
আক্রান্ত বিজেপি নেতা সুবীরের অভিযোগ, ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছিল ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’ তিনি তার প্রতিবাদ করেছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতারা ফুঁসে ওঠেন। প্রতিবাদ করায় তাঁদের রাস্তায় ফেলে বাঁশ-লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সুবীর বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের সামনেই মারধর করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, গন্ডগোলের খবর সামনে আসতেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের সকাল থেকেই গয়েশপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। বনগাঁ লোকসভা কল্যাণী বিধানসভার গয়েশপুর আনন্দপল্লিতে বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অশান্তির খবর মিলেছে স্বরূপনগরেও।