দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃগরমে জেরবার কলকাতা। এদিকে জেলায় ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
মুর্শিদাবাদের লালগোলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হল মামা ও ভাগ্নের। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার বিকেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঠে কাজ করার সময় প্রবল বৃষ্টি নামে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। অনেকেই কাজ থামিয়ে ফিরে গেলেও মাঠেই সেচের কাজে ব্যস্ত ছিলেন বছর ২৫-এর জাকির হোসেন এবং তাঁর ভাগ্নে ১০ বছরের শরিকুল ইসলাম। সেই সময় আচমকাই বজ্রপাত হয়। দেখা যায় অচৈতন্য অবস্থায় জাকির ও শরিকুল মাঠে শুয়ে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ দিকে শুক্রবার সকাল গড়াতেই নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি নামে। এর ফলে গরমের হাত থেকে খানিক রেহাই মিললেও, চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ফরাক্কার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গাছ উপড়ে পড়ে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যহত হয়। বহরমপুরের জলঙ্গি রোডে গাছ উপড়ে পড়ে দু’জন আহত হয়েছেন। এর ফলে প্রায় ৪৫ মিনিট ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। প্রবল ঝড়ে ডোমকল মহকুমা এলাকায় গাছ পড়ে দু’জন গুরুতর জখমকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বছরের প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে নদিয়া জেলার করিমপুর এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকায় রয়েছে করিমপুর ১ ব্লক এলাকায় শিকারপুর, যমশেরপুর ও করিমপুর ১ ও ২ গ্রাম। কলা, পান, পেঁপে এবং ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলার একাধিক এলাকা বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎহীন ছিল। বিডিও অনুপম চক্রবর্তী জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রথমে জনজীবন স্বাভাবিক করাই আমাদের আপাতত মূল লক্ষ্য। যতক্ষণ না এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
মুরুটিয়া থানার ফুলখালি গ্রামে শতাধিক বছরের পুরনো গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণ চন্দ্র হালদার(৭০) নামে এক বৃদ্ধের। আহত বেশ কয়েকজন। মৃতের স্ত্রী রেখা রানি হালদার বলেন, “গাছ ভেঙে পড়ার সময় আমি বুঝতে পারলেও স্বামী বুঝতে পারেননি। ঝড়-বৃষ্টির সময় পাকা রাস্তার উলটোদিক থেকে একটি পুরনো বড় গাছ ভেঙে পড়ে ঘরের উপর। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় স্বামীর। আমি অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি।”