কলকাতা : ৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ১১ ডিসেম্বর এই উৎসব সমাপ্ত হতে চলেছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে নন্দন ও রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে উৎসব আবহ। বাঙালি অন্যান্য উৎসবের মতো এই সিনেমা উৎসবকেও আপন করে নিয়েছে। তাই সিনেমা দেখা হোক আর নাই হোক শুধু একটু ঘুরে দেখার তাগিদেই ভিড় জমান বহু মানুষ। এতে তরুণ – তরুণীর দল যেমন রয়েছে তেমনি অনেকেই বাচ্চাদের নিয়েও হাজির হচ্ছেন এই অঙ্গনে উৎসবের আচ নিতে ও ছবি তোলার তাগিদে। দেখুন ভিডিও
তবে সিনেমাপ্রেমীরা কিন্তু আড্ডা ছাড়াও আগে থেকেই তাদের পছন্দের সিনেমা বেছে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে পড়ছেন। গোটা শহরজুড়ে কিছু নিবার্চিত প্রেক্ষাগৃহে চলছে দেশ- বিদেশের ছবির মেলা। তাই সারা কলকাতা সেজেছে। তবে নন্দন চত্বরের সাজ অন্যান্য বারের মতোই জৌলুসপূর্ণ। তাই ঘুরে দেখা এবং ভালো ভালো সিনেমা দেখার নেশায় জমজমাট সিনেমা উৎসব।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে একতারা মঞ্চের সিনে আড্ডা – এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ। প্রতিদিনই বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিত্বরা হাজির হচ্ছেন এই মঞ্চে। সেখানে তাঁরা সিনেমাসংক্রান্ত নানা বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন। এ বছর সেখানে চলছে কুইজ প্রতিযোগিতা, সঠিক উত্তর দিতে পারলেই পাওয়া যাচ্ছে সিনেমার দেখার টিকিট। তাই একতারা মঞ্চ প্রাঙ্গনে নজরকাড়া ভিড়।
সোমবার দর্শকদের জন্য সিনে আলোচনা ছাড়াও উপরি পাওনা ছিল প্রখ্যাত তবলা বাদক পন্ডিত তন্ময় বোস এবং বিশিষ্ট সরোদ বাদক পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়নের যুগলবন্দি। এদিন কিংবদন্তি রাজ কাপুর, কিংবদন্তি মহম্মদ রফি, পরিচালক তপন সিনহা, সুরকার এবং গীতিকার সলিল চৌধুরী প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। সিনে আড্ডার সেদিনের বিষয় ছিল চলচ্চিত্রে রাগের চালচিত্র। বহু বিখ্যাত চলচ্চিত্রের গানে রাগের মূর্ছনাকে তাঁরা যন্ত্রানুসঙ্গীতের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তাঁদের সুরের যাদুতে সিনেমা উৎসব যেন আলাদা মাত্রা পায়।