সাতসকালে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। ওড়িশা (Odisha) ও বাংলাদেশেও (Bangladesh) কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূমিকম্প হয়। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল বঙ্গোপসাগর এবং ৯১ কিলোমিটার গভীরে। তাদের প্রকাশ করা ছবিতে এটা পরিষ্কার যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ওপারবাংলার পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা নিয়েও সরকারি স্তরে কোনও তথ্য মেলেনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জ়োন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। কোনও অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। দেশে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে। ‘সিসমিক জ়োন ২’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জ়োন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি) পর্যন্ত রয়েছে ভারতে। ‘সিসমিক জ়োন ৪’-এর অর্থ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মৃদু। কম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় এই অঞ্চলে।
বস্তুত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ ভোরবেলা কেঁপে উঠেছিল কলকাতা-সহ গোটা দেশ। সেই বার উৎসস্থল নেপালে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। নেপালের গোকর্ণেশ্বরের কাছে লোবুচে থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। ভারত, নেপাল, বাংলাদেশের সঙ্গে কম্পন টের পাওয়া যায় চিন, ভুটানেও। এই আবহে ফের কেঁপে উঠল কলকাতা।
এখনও অবধি ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর আসেনি। গত সপ্তাহেই দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া।