চলতি বছর বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি মাইকেল মধসূদন দত্তের দ্বিশতবর্ষ পূর্তি। তার জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি। আর তার দ্বিশতবর্ষ পূর্তির মধ্যেই কাল বৃহস্পতিবার তার জন্ম তিথির মধ্যেই চলছে বইমেলা। কিন্তু এবারের বই মেলায় তার অমর স্মৃতিতে কোনো প্রবেশ দ্বারের নামকরণ হয় নি।
বই মেলা চত্বরে কোন কোন পথ বা সরণির নাম করণ শিল্প সাহিত্য জগতের একাধিক ব্যক্তির নামে হলেও অনুপস্থিত মধু কবি। কোনো অডিটোরিয়াম বা মঞ্চের নামও তার নামে নেই। এই নিয়ে ব্যথিত পুস্তক প্রেমী ও সাহিত্যমোদিদের অনেকেই। তাদের প্রশ্ন, কবির দ্বিশত বর্ষের পূণ্য ক্ষণে বই মেলার আয়োজনের মধ্যে কেন ঘটল এই ছন্দ পতন। উল্লেখ্য, যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে সরণি হয়েছে তাঁরা হলেন রশিদ খান, কার্টুনিস্ট অমল চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষ প্রমুখ।
প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় নয়া প্রজন্মের সামনে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কান্ডারীর স্মৃতি চারণ কি জরুরি ছিল না! বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক ও গবেষক শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় বলেন, ,” বই মেলায় ২৬ তারিখ লিটারারি ফেস্ট শুরু হবে। সেদিন সাহিত্য সংস্কৃতির নানা আঙ্গিক নিয়ে বিভিন্ন আলোচ্য সূচির মধ্যে আলাদা করে মাইকেলের অবদান ও সাহিত্য কৃতি রয়েছে। ভালো কথা।
শুধু একটা বিষয় ভাবিয়ে তুলেছে, শিশু সাহিত্যের জনপ্রিয় গোয়েন্দা উপন্যাসের লেখকের নাম যদি বই মেলায় সরণি হতে পারে, তা হলে মাইকেল কি দোষ করলেন। ‘ তার সংযোজন, ” কি করে আমরা ভুলবো বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি ও নাট্যকারকে। বাংলা ভাষায় সনেট তারই প্রথম লেখা। আবার বাঙলা ভাষায় সব সেরা মহাকাব্য ” মেঘনাদ বধ কাব্য” তারই রচনা। বই মেলায় তাকে ঘিরে বিশেষ কিছু কারা এবার প্রত্যাশিত ছিল। অনেক মানুষই হতাশ হয়েছেন। ‘
তবে বই মেলা শুরুর আগেই কেউ কেউ অবশ্য বই মেলার উদ্যোক্তা দের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। বই মেলায় প্রতি বছরই অংশ নেন ভ্রমণ সাহিত্যের প্রকাশক
সুবীর ভট্টাচার্য। তিনি বইমেলার লটারির দিন এক শীর্ষ উদ্যোক্তার এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তার কথায়, ” তিনিও এটা নোট ডাউন করেছিলেন। কিন্তু কিছু হলো কই?।” যদিও পাবলিশার্স গিল্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” গত বছর দ্বি শতবর্ষ পূর্তিতে কবি কে নিয়ে আমরা অডিটোরিয়াম করেছিলাম। এবার তো মাইকেল কে নিয়ে আলোচনার আয়োজন আছে। “