দেশের সময় কলকাতা: জেলে থাকাকালীন একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই শুরু হয়েছিল ভাঙন। অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বিধানসভার কমিটিতে ঠাঁই পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দু’টি কমিটিতে জায়গা পেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তৃণমূল জমানায় এই প্রথম বিধানসভার কমিটিতে জায়গা পেলেন তিনি। বিধায়ক হিসাবে এখন থেকে কাজ করতে পারবেন তিনি। এমনটাই খবর সূত্রের। অবশেষে বিধানসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিন পাওয়ার কথা।
বিধানসভায় প্রকাশিত হল হাবড়ার তৃণমূল বিধায়কের জামিন সংক্রান্ত বুলেটিন। সেখানে জানানো হল কবে গ্রেফতার হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর কবে জামিন পেয়েছেন। কোন আদালত থেকে জামিন মিলেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর, তার বিস্তারিত তথ্যও রয়েছে এতে।
সূত্রের খবর, তাঁকে আপাতত বিধানসভায় বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি কমিটির পার্মানেন্ট ইনভাইটি মেম্বার বা স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে লোকাল ফান্ড কমিটির সদস্যও করা হয়েছে বালুকে।
তৃণমূল জমানায় শুরু থেকেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ফলে বিধানসভার কোনও কমিটিতে ছিলেন না তিনি। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। আর তারপরে এই আবার বিধানসভায় এলেন। সেই কারণেই কমিটি পেলেন জ্যোতিপ্রিয়।
প্রসঙ্গত, দ্রুত যাতে বিধায়ক হিসাবে কাজ শুরু করতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়। তার জন্য নিয়মিত ব্যবধানে বিধানসভায় এসে নথিপত্র সংক্রান্ত কাজ সারছেন তিনি। সেইসঙ্গে হাবড়ার উন্নয়নের কোথায় কী হচ্ছে, কোন কোন কাজ আটকে আছে, উন্নয়ন বকেয়া কোথায়, কোথায় রাস্তা খারাপ, কোথায় আলো নষ্ট হয়েছে, জলের সমস্যা কোথায়, সে সব বিষয়ে ফোনেই এলাকার নেতৃত্ব, কাউন্সিলদের সঙ্গে কথা বলছেন। তদারকি করছেন পুরোদমে।
উত্তর ২৪ পরগনার অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একটা সময় ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। তখন রাজ্য জুড়েই জ্যোতিপ্রিয়র প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে তিনি বনমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি কেবলমাত্র বিধায়ক। তার উপর এতদিন ধরে জেলে থেকেছেন। এবার তিনি ফের আগের সেই প্রভাব প্রতিপত্তি ফিরে পেতে চলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।