মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর ওয়াকফ বিল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর মঙ্গলবারই এই বিলের প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে । সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় জনতা। পুলিশকে শুরু করে ইট ছুড়তে শুরু করে। পুলিশের দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও আর যেন জঙ্গিপুরে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে জঙ্গিপুর মহকুমায় মিটিং-মিছিল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্টত জানিয়েছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি এখন পুরো নিয়ন্ত্রণে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ যাতে কোনও ভুল খবর বা গুজব না ছড়ান, সেই আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।
https://x.com/WBPolice/status/1909608849482391665?t=kqMfnKosOARTD39o-hoGog&s=19
জঙ্গিপুরের ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির তরফে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, ‘রাজ্যে পুলিশের গাড়িই জ্বলছে। অবিলম্বে প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানো উচিত।’ অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, পুলিশের বাড়াবাড়ির জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, চাকরি বাতিল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে যায় বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আর এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যেরই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বাম সরকার আমলের তুলনা টেনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁর কথায়, ‘বাম জমানায় পুলিশ কিন্তু এভাবে লাঠিপেটা করেনি।’ প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরে জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে। মঙ্গলবারই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়।