Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack শুরু হল পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া ,  কাশ্মীরে হামলার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হল পাকিস্তানিদের , স্থগিত সিন্ধু জলচুক্তি!

0
14

Pahalgam Terrorist Attack: এই হত্যালীলাকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, বারবার জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই আবহের মধ্যেই প্রথম বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত।

জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার  ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক বড় পদক্ষেপ করেছে ভারত। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত – সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল! এছাড়া পাকিস্তানিদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্তও।

‘সার্ক’ ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের দেশ ছাড়তে ২ দিন সময় দেওয়া হলেও যারা সম্প্রতি ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ফেরার জন্য ১ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছে সরকার। 

বুধবার ভোরেই সৌদি আরব সফর থেকে ফিরে দু’দফা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম দিল্লি বিমানবন্দরে একপ্রস্থ বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোদী। ওই বৈঠকে ছিলেন বায়ুসেনার এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহ এবং অন্য আধিকারিকরাও।

পরে সন্ধেয় তাঁর বাসভবনে বৈঠক হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সহ আরও অনেকের সঙ্গে। এরপরই এই খবর সামনে এসেছে। 

এ দিনের বৈঠক থেকে তিন সেনাকে অর্থাৎ (জল,স্থল, নৌ) তৈরি থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, এই নিকৃষ্ট ঘটনার পর ভারত তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না।  প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত এর আগে একাধিকবার পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছিল, সন্ত্রাস যদি বন্ধ না হয় তাহলে সিন্ধু নদীর জল নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে। এই নিয়ে ইসলামাবাদকেও চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিন্ধু জল-বণ্টন চুক্তি হয় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল আয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু নদীর জল বণ্টন নিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। পাকিস্তানের করাচিতে গিয়ে এই চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন পণ্ডিত নেহরু। সিন্ধু নদী এবং এর উপনদীগুলির জল ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাংক (World Bank) মধ্যস্থতা করা হয়েছিল।ভারত যদি এই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসে তাহলে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সেচ মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। প্রভাব পড়বে কৃষিতে। একপ্রকার ভাতে মারা পড়বে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পহেলগামের বৈসরন ভ্যালি। ‘হিন্দু’ কিনা জিজ্ঞাসা করে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ২৬ জনকে। মূলত বেছে বেছে মারা হয় পুরুষদের। ঘটনায় স্তব্ধ গোটা দেশ। গতকাল থেকেই এই নিয়ে তৎপর রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

হামলাকারীদের উচিত জবাব দিতে দফায় দফায় বৈঠক চলেছে। সৌদি থাকাকালীনই অমিত শাহকে কাশ্মীর যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতেই সেখানে পৌঁছে পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করেন শাহ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার এমন নারকীয় ঘটনার জন্য আগে থেকেই বৈসরনে এসেছিল জঙ্গিরা। রেইকি চালিয়ে গোটা এলাকা বুঝে নিয়েছিল। ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে মঙ্গলবার দুপুরে হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে গুলি করে খুন করা হয়। এই কর্মকাণ্ডের জন্য পাক সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে দায়ী করা হচ্ছে। সূত্রেই খবর, দু’মাস আগে একটি সভার আয়োজন করেছিল এই সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কসৌরি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনার সদস্যরা। ভারতবিরোধী বক্তৃতা দেওয়া হয় সেদিন।

ইতিমধ্যে হামলাকারী চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তারা হল জুনেইদ, সুলেমান শাহ, আবু তালহা ও আসিফ শেখ। গোটা ঘটনার দায় শিকার করেছে দ্য রেজিস্টেন্ট ফ্রন্ট। যদিও হামলাটির মাস্টারমাইন্ড লস্কর-ই-তইবার ডেপুটি চিফ, বলছে সূত্র। 

Previous articleJammu-Kashmir Terror Attackপহেলগাঁও জঙ্গিহানা: চার আততায়ীর ছবি প্রকাশ,নীরবতা পালন করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও ! দেশজুড়ে শোক ও নিরাপত্তা জোরদার
Next articleAdhir Ranjan Chowdhury এখনই পাক অধিকৃত মুজাফফরবাদ দখল করুক ভারত, গর্জে উঠলেন অধীর: দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here