
যুদ্ধবিরতির পর, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তিন সেনা প্রধান, ডিজিএমও। সোমবার দুই দেশের ডিজিএমও’র বৈঠকের আগেই, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠক করেন সেনা প্রধান, ডিজিএমও।
বৈঠকে এয়ার মার্শাল সাফ জানান, ভারতের লড়াই ছিল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকসেনার বিরুদ্ধে নয়। ৭ মে, ভারতীয় সেনা বেছে বেছে কেবল পাক জঙ্গিঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, যে পাক সেনা ভারতের আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নিজেদের লড়াই হিসেবে ধরে নিল। জঙ্গিদের সমর্থনে লড়াই করল ভারতের সঙ্গে।

এ কে ভারতী জানান, দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনী বারবার প্রতিহত করেছে পাক-আক্রমণ। পাক বিমানের হামলা রুখেছে ভারত। ধ্বংস করা হয়েছে চিনের তৈরি পাক-ড্রোন , পাকিস্তানের বিমান। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলেও জানানো হল বৈঠকে। বৈঠকে ডিজিএমও ভারতের এয়ার ডিফেন্সকে সত্তরের দশকের অষ্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইন আপ-এর সঙ্গে তুলনা করে বুঝিয়ে দেন, ঠিক কীভাবে, স্তরে স্তরে সাজানো ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিপক্ষ এক স্তর অতিক্রম করলেও, ঠিক ধাক্কা খাবে পরের স্তরে।

প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায় এদিন, ভারতের পাল্টা আক্রমণে নিম্ন-স্তরের বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক, কাঁধে চালিত MANPADS (ম্যান-পোর্টেবল এয়ার-ডিফেন্স সিস্টেম) এবং স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (SAM) এর মতো পয়েন্ট-ডিফেন্স অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল। বিস্তৃত পরিসরের জন্য, ভারত বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধবিমান এবং দীর্ঘ-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের মতো এলাকা-প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করে। ভারতের প্রতিটি সামরিক ঘাঁটি সুরক্ষিত রয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল বৈঠকে।

একই সঙ্গে, এদিনের বৈঠকে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানালেন, দিনে দিনে কীভাবে বদলে গিয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপের ধাঁচ। ভারতে সমুদ্রে বিভিন্ন স্তরে যে কঠোর প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি হয়েছে, নৌ সেনার পক্ষ থেকে এদিন জানানো হল তাও।