
পাকিস্তানের তরফে ভারতে চালানো ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শুক্রবার সকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দিল্লিতে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান এবং সেনা, নৌ ও বায়ুসেনা প্রধানরা।
জানা গেছে, মূলত ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য এবং পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণের প্রেক্ষিতে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়নের জন্যই এই বৈঠক।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের তরফে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। লক্ষ ছিল রাজস্থান, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের একাধিক জায়গা। হামলার টার্গেটে ছিল জম্মু, পাঠানকোট এবং উদমপুরের সেনা ঘাঁটিও। ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত পাল্টা জবাব দেয়।
রাতেই জম্মু, শ্রীনগর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের একাধিক এলাকা ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় হয়। বিস্ফোরণের শব্দ এবং আকাশে আলো ঝলকানি দেখা যায়।

সূত্রের খবর, সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের বহু সেনা পোস্ট ধ্বংস করেছে ভারত। এর মধ্যে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর বিভিন্ন জায়গায় থাকা পোস্টও রয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গেছে, ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল (ATGM) ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সেনাঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে পাকিস্তান থেকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়। তবে এগুলি SOP অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।’
বুধবার ভোররাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ২৪টি মিসাইল হামলা চালায় ভারত মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযানে অন্তত ৭০ জন জঙ্গি নিহত ও আরও ৬০ জন আহত হয়। ভারত সরকারের মতে, এই হামলা ছিল সুসমন্বিত ও সুপরিকল্পিত একটি পদক্ষেপ, যাতে সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত করা যায় এবং শত্রুপক্ষের নজর এড়িয়ে চলা যায়।

এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান এলোমেলো এবং নির্বিচারে গোলাবর্ষণ শুরু করে সীমান্তে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরে অন্তত ১৬ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতীয় সেনা পাল্টা শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সীমান্তে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি বজায় রেখেছে।