অর্পিতা বনিক, দীঘা: বর্ষা পড়েছে। বাঙালির পাতে প্রয়োজন ইলিশের। কিন্তু রুপোলি শস্যের ভাটা ছিল দীঘা(Digha) মোহনায়। মরসুমের দাবি রেখে ইলিশ উঠলেও তা বাজারের ঘাটতি মেটাতে খুব একটা সহায়ক হচ্ছে না বলেই জানিছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
তবে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ভাগ্য ফিরল তাঁদের। বৃষ্টি আর পুবালি হাওয়ার যুগলবন্দিতে ফের ইলিশের দেখা মিলছে দীঘায়। খাদ্য রসিক বাঙালির পাত ভরবে ইলিশের পদে, আশার বার্তা দিল দীঘা ৷
বর্ষার মরশুমে ইলিশ উঠতে শুরু করেছে দীঘা(Digha )মোহনার আন্তর্জাতিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে।
পড়শি ওড়িশা রাজ্যেরও কিছু মাছ রয়েছে তাতে। স্থানীয় মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এ খবর। ইলিশ উপযোগী আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় আগামী কয়েকদিনে রূপোলি ফসলের আমদানি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবী ও আড়ৎদারেরা।
জুলাই মাসের ১৪ তারিখে প্রায় ৪ টন ইলিশ উঠেছিল দীঘায়। তারপর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া তৈরি হলে আর সেভাবে ইলিশের দেখা মিলেছিল না। কিন্তু ফের আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে বর্ষাও হচ্ছে নিয়ম মেনে হলেই বইবে মৃদুমন্দ পূবালী বাতাস। আর তাতেই ইলিশের ঝাঁক সমুদ্র থেকে স্রোতের উল্টোদিকে সাঁতরে আসতে শুরু করবে এ দিকে। দেখুন ভিডিও
এদিন বাজারে ওঠা ইলিশগুলির ওজন ও গড় ছিল বেশ উন্নত। ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি পর্যন্ত। দামও তেমন চড়া। ৬০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা। ফলে বাধ সাধা দামের কারণে ইলিশের ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই হয়নি আমবাঙালির। ইলিশকে নাগালে পেতে তাঁদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন দীঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথায়,”আবহাওয়া ইলিশ উপযোগীও রয়েছে। সমুদ্রে অনেক লঞ্চ ট্রলার রয়েছে। খবর আসছে,তাঁদের জালে ইলিশ উঠছে বলে। আগামী দুয়েকদিন নের মধ্যে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে। ফলে দামও আরও কমবে।”