প্রদীপ দে, ঢাকা: দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এখনও পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৭৪ মেট্টিক টন ইলিশ।
এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে মোট তিন হাজার ৯৫০ মেট্টিক টন। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে আগামী বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ঈদ থাকায় বন্ধ থাকবে ইলিশ রপ্তানির কাজ।
তবে এত ইলিশ রপ্তানিতে ক্ষোভ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বাসিন্দাদের একাংশ ৷ তাদের দাবি, এত মাছ রপ্তানি হলে দাম বাড়বে স্থানীয় বাজারে। বর্তমানে দেশীয় বাজারে কেজিতে ইলিশের দাম বেড়েছে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত।
ফিরোজ নামে এক ইলিশ বিক্রেতা জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে সঙ্কট বেড়েছে। বেশি দামে কেনায় বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
অক্টোবরের ২০ তারিখ থেকে দুর্গা পুজো শুরু। তার আগে ইলিশ রপ্তানিতে খুশি বাংলার মানুষ। পেট্রাপোলে ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ‘ভারতে দুর্গাপুজো মানে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখা, প্রিয়জনদের সঙ্গে আড্ডা আর জমজমাট খাওয়াদাওয়া। ইলিশ ছাড়া বাঙালির খাওয়াদাওয়া যেন পরিপূর্ণ হয় না। অষ্টমী বা নবমীর দুপুরে সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভাপা বা ইলিশ পাতুরি, ইলিশ বিরিয়ানি দিয়ে লাঞ্চ না করলে পুজোর আনন্দ কমে যায় অনেকটাই।
পেট্রাপোল চেকপোস্টের আমদানিকারক রামকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিদিনই কিছু কিছু করে আসতে থাকবে বাংলাদেশের ইলিশ।
অবশেষে ইলিশ যে এসে পৌঁছেছে এটাই আনন্দের। এবার কিছুটা দেরিতে হলেও, বাঙালি এই মাছ পাবে’। ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯ সাল থেকে আবার শুরু হয়েছে রপ্তানি। বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ১৭৩ মেট্রিক টন ৭০০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। বাকি ইলিশ আগামী ৩০ অক্টেবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করবে দেশের ৭৯টি ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।