
গোপালনগর : এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। উত্তর ২৪পরগনার গোপালনগর থানার অম্বিকাপুরের ঘটনা । পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম শ্যামলী পাল (২৪) ।
পড়শিরা শ্যামলীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসক ওই মহিলাকে মৃত বলে জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালনগরের অম্বিকাপুরের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় পাল ওরফে (কৃষ্ণ )-র সাথে করোনা কালে গাট ছড়া বেঁধেছিল নবদ্বীপের ভালুকা বটতলার বাসিন্দা শ্যামলী পাল । বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক গোলমাল লেগেই থাকত।
মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ , বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করত শশুর – শাশুড়ি ও জামাই। মানসিক অত্যাচার করত । তারাই মেয়েকে মেরে ফেলেছে । শ্বশুরবাড়ির লোকেদের শাস্তির দাবি করে থানার দ্বারস্থ হয় শ্যামলীর পরিবার।
মৃত বধূর বৌদির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার ননদকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হতো। এদিন দেহ মর্গে পৌঁছানোর পর তাদেরকে খবর দেওয়া হয়। আর তাতেই তাদের সন্দেহ দানা বাঁধে।
মৃত বধূর দিদির অভিযোগ, বিয়ের পর সন্তান না আসার কারণে বোনের উপরে অত্যাচার চালাতো তার শাশুড়ি এবং অন্যান্যরা। পরিবারের যে চারজন সদস্য আছে তাদের প্রত্যেকের চরম শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। মৃত বধূর দাদা জানান, অসুস্থ হলে বোনকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যেত না। বাপের বাড়িতেও যেতে দিত না।
আমার বোন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। স্বামী ও শাশুড়ি বেধড়ক মারধর করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে । ওদের চরম শাস্তি চাই ।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দম্পতির ৮ মাসের একটি সন্তান ও রয়েছে।
মৃত বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের চরম শাস্তির দাবি করে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে গোপালনগর থানার অম্বিকাপুর এলাকায়।