দেশের সময়, বনগাঁ: পিঠেতে ‘সোনা’র বোঝা, তবু সেই সোনাকে যাবে না ছোঁয়া।তবে মজুরি মিলবে দুই হাজার। প্রায় কোটি টাকার সোনার বিস্কুট পাচার করলে জুটবে কড়কড়ে দুই হাজার টাকা। সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়ে অবশেষে বিএসএফ-র হাতে ধরা পড়লেন এক মহিলা পাচারকারী। ধৃত মহিলা পাচারকারীর নাম আকলিমা সর্দার৷ তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা৷ তার কাছ থেকে প্রায় ৯৫ লক্ষেরও বেশি মূল্যের সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে ৷
বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সীমান্তে ৯৫ লাখেরও বেশি মূল্যের সোনার বিস্কুট সহ এক মহিলা পাচারকারীকে আটক করা হয়। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন সীমা চৌকি জয়ন্তীপুর এলাকা থেকে আটক হন ওই মহিলা। বিএসএফ-র ১৫৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের হাতে ১৫ টি সোনার বিস্কুট সহ ধরা পড়ে ওই মহিলা পাচারকারী। ওই মহিলা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
বাজেয়াপ্ত করা সোনার ওজন প্রায় ১৭৪৯.৭২ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য ৯৭,২১,৪৪৪ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই মহিলা চোরাকারবারী জানায়, এই সোনা তাকে বেনাপোলের বাসিন্দা বাংলাদেশি চোরাকারবারী বাদল দিয়েছিল। সে আরও জানায়, এরপর সে পেট্রাপোলের বাসিন্দা ভারতীয় চোরাকারবারী আসগর শেখের কাছে এই সোনার বিস্কুটগুলো হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। এই কাজের জন্য সে ২০০০ টাকা পেত। কিন্তু জওয়ানরা তাকে সোনা পাচারের আগেই ধরে ফেলে।
আটক মহিলা পাচারকারীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক বিভাগ পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫৮ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জানান, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে এবং এ কাজে সাফল্যও পেয়েছে। যার কারণে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে। আজ ধরা পড়া মহিলা চোরাকারবারির কাছ থেকে চোরাচালান সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাতে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা যায়।
প্রসঙ্গত, মাস ছয়েক আগেই বিএসএফ দিক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এর অধীন কলকাতা সেক্টরের জওয়ানদের হাতে সীমান্ত এলাকা থেকে সোনার বিস্কুট এবং সোনার বার সহ দুই পাচারকারী ধরা পড়ে। বাজেয়াপ্ত করা সোনার মোট ওজন ১১.৬২০ কেজি এবং এর আনুমানিক মূল্য ৬.১৫ কোটি টাকা। বিএসএফ জওয়ানদের ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা বাংলাদেশ থেকে এই সোনার বিস্কুট ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।