সুপ্রকাশ চক্রবর্তী, দেশের সময় :পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের বাঁশতলা খেয়াঘাটে পতিত পাবনী গঙ্গার শাখা কালনাগিনী নদীবক্ষে অনুষ্ঠীত হল গঙ্গা আরতি। রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত,ঋষি বঙ্কিম গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাপুজী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্রে এই অভিনব গঙ্গা আরতি পরিচালনা করেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের গ্রামীণ সেবাকেন্দ্র মন্মথপুর প্রণব মন্দির। চলে ১৭ই জানুয়ারী পর্যন্ত চারদিনের শ্রীশ্রী প্রণব সংস্কৃতি মেলা। গঙ্গা আরতির প্রথম দিনে ১০০১টি প্রদীপ প্রজ্বলন করে মায়েরা জগত সংসারের মঙ্গল কামনা করেন। দেখুন ভিডিও
দ্বিতীয় দিনে যুগাচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের ১৩০তম শুভ আবির্ভাব বর্ষকে পাথেয় করে জনসমাজে অকল্যাণ দূর করতে আরতির পূর্বে ১৩০টি ধুনাচি নিয়ে মা গঙ্গাকে আহ্বান করেন। তৃতীয় দিনে সমাজ থেকে অশুভ শক্তি দূর করতে ১৩০টি মশাল নিয়ে মা গঙ্গাকে আরতি করেন। শেষ দিনে সার্ব্বজনীন শান্তি কামনায় পঞ্চদেবতার নামে একসাথে পঞ্চ বৈদিক শান্তি যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। অভিনব এই গঙ্গা আরতিতে বারানসী, দক্ষিণেশ্বর, মহামিলন মঠ, বেলুড় মঠ ও ওঁঙ্কার নাথ মঠের পুরোহিতরা আরোতিতে অংশ নেন।
অন্যদিকে মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে সঙ্ঘের পক্ষে স্বামী পরাশরানন্দজী মহারাজ ও স্বামী অন্বেষানন্দজী মহারাজ এবং কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, সন্দেশখালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন মোহন হালদার সহ বহু বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এই গঙ্গা আরতিতে সেজে উঠেছে কালনাগিনী নদীতটে নব নির্মিত স্থায়ী আরতি বেদী।
গঙ্গা আরতি দেখার জন্য নদীর উভয় তীরে উপচে পড়া মানুষের ভীড় জমে ওঠে। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ শক্তির আদলে গড়ে ওঠা মন্মথপুর প্রণব মন্দির ছাড়া বাঁশতলা বাজার কমিটি, বিশালাক্ষ্মী মায়ের মন্দির কমিটি ও মন্মথপুর বি বা দি সংঘ সহযোগী শক্তি হিসাবে আরতি ও মেলা সুসম্পন্ন করেন।