দেশের সময়, গাইঘাটা: খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ। মহিলাকে ঘরে বন্দি করে রাখলেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদপাড়া ফুলসরা এলাকার বাসিন্দা অর্চনা চিন্তাপাত্রর ছেলেকে খাদ্য দফতরের চাকরি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রতিবেশী মায়া ঘোষ নামে এক মহিলা। অভিযোগ, ধাপে-ধাপে অর্চনা দেবীর কাছ থেকে মায়া দেবী মোট ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নেন।
তবে চাকরি পাননি অর্চনার ছেলে। অভিযোগ, এরপর মায়া ঘোষের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মায়া ঘোষকে তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে এসে অর্চনার বাড়িতে আটকে রাখেন। এবং টাকার দাবি করেন।
অর্চনা দেবী জানিয়েছেন, মায়া ঘোষের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করেন। অর্চনার সঙ্গে আত্মীয়তা পাতিয়ে তাঁর ছেলেকে খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়েছেন মায়া। বর্তমানে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন। সেই কারণে তিনি মায়ার বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অপরদিকে, মায়া ঘোষের দাবি, তিনি কোনও টাকা নেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা চক্রান্ত করে তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করছেন।
এ বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন যে, মায়া ঘোষ সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। তিনি বিভিন্ন সময়ে মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা নিয়েছেন জানা যাচ্ছে। তবে কেন এমনটা করছেন জানা নেই। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানিয়েছেন। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। গোবিন্দ বাবুর আরও দাবি করে বলেন, ‘মায়া একসময় বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন তিনি কোনও রাজনৈতিক দল করেন না।’
এ বিষয়ে সিটু-র উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির কার্যকারী কমিটির সদস্য কপিল ঘোষ বলেন, ‘মায়া ঘোষ অনেক আগে বামফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’