দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাঝ নভেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে কমছিল তাপমাত্রা। আর এ মাসের শেষ সপ্তাহে এসে একেবারে চালিয়ে ব্যাট করতে শুরু করেছে শীত । গতকাল কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি, আজ সেটাই আরও এক ডিগ্রি কমে হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজই কলকাতার শীতলতম দিন।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বিগত ৫ বছরের তাপমাত্রার ইতিহাসে নভেম্বর মাসে এমন ঠান্ডা সত্যিই বিরল। তাই এবারের শীত যে আরও জাঁকিয়ে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। একইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এইমুহূর্তে কোনওরকম ঝঞ্ঝার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই অবাধ উত্তুরে হাওয়ায় শীত আরও বাড়বে মাসের শেষে।

হাওয়া অফিস বলছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি রেকর্ড ঠান্ডা পড়তে পারে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি, যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে। চলতি সপ্তাহের শেষে অন্তত তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। আর দক্ষিণবঙ্গে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

বিগত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে বুধবার কলকাতা শহরে তাপমাত্রার পারদ নামল ১৬ ডিগ্রির কোঠায়। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরশুমের শীতলতম। সোমবার থেকে ক্রমশই নিম্নমুখী হচ্ছে শহরের তাপমাত্রা। গত সোমবার কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর মঙ্গলবার তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নামল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার আরও নেমে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠায়। আর এবার বৃহস্পতিবার আরও কমে তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীতের এই মিনি স্পেলে শহরে নভেম্বরের এই পারদ পতন বিরল বলেই মনে করছেন অধিকাংশ আবহাওয়াবিদ। ফলে চলতি মরশুমে কনকনে শীতের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টি ছাড়া দেশের বাকি কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।পশ্চিম, উত্তর পশ্চিম, মধ্যভারত এবং পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুধুই শুষ্ক আবহাওয়া এবং শীতের আমেজ। আগামী কয়েক দিনে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। তার ফলে শীতের আমেজ আরও বাড়বে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি যেমন অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে সকালের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here