দেশের সময় ,পেট্রাপোল: ভাইফোঁটার রাতে বনগাঁর পেট্রাপোলে পণ্যবাহী গাড়ির টার্মিনাসে বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত তুলো বোঝাই ৫ টি ট্রাক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ১১টা নাগাদ পেট্রাপোল টার্মিনাসে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তে গ্রাস করে নেয় একের পর এক তুলো বোঝাই ট্রাক। দেখুন ভিডিও

দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ভোররাতে নিয়ন্ত্রণে এলেও, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রাকে আগুন লাগলে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। ৪ টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এক্ষেত্রেও আগুন লাগার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক কার্তীক চক্রবর্তী বলেন বনগাঁ পুরসভা পরিচালিত এই ট্রাক পার্কিং এ সুরক্ষার অভাব রয়েছে,নেই কোন সিসি ক্যামেরার ব্যাবস্থা ফলে কি ভাবে আগুন লাগল তা জানার কোন উপায় নেই৷

তিনি আরও বলেন এদিনের আগুনে পুড়ে প্রায় ১০কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ট্রাক সহ মজুত পণ্যের মূল্য অনুযায়ী৷ কার্তীক বাবুর কথায় প্রতিবেশিদেশ বাংলাদেশ থেকে যদি দমকল বাহিনী এদেশে আসতে পারত তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কনেক কম হত ৷ যদিও এ ক্ষেত্রে আইনত জটিলতা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷

রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদও দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে গুঞ্জন শোনা যায় এই আগুন নাকি কেউ বা কারা লাগিয়েছে পরিকল্পিত ভাবে , তা না হলে এখানে এত বড় অগ্নিকান্ড হয় নি কোনদিন এর আগে৷

এ বিষয়ে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন এদিনের আগ্নিকান্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন ,কারণ বনগাঁ পুরসভাটাই একটা চক্রান্তের আতুঁড় ঘর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হল সীমান্ত বাণিজ্য৷

পার্কিং এ কোন রকম সুরক্ষা বা সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই, পুলিশ ও সে ভাবে চোখে পড়েনা ওই এলাকায়৷ সম্পূর্ণ তোলাবাজী রাজ চলছে ৷ পার্কিং কে সামনে রেখে আসলে এখানে মোটাটাকার কারবার আগেও চলত এখনও চলছে৷ পুলিশ প্রশাসন মুখে কুলপ এঁটেছে৷

দমকল কর্মীরা জানান শনিবার রাত থেকে ৪টি ইঞ্জিন এক যোগে আগুন নেভানোর কাজ চলছে স্থানীয় পুকুর থেকেজল পাওয়ায় বাড়তি সুবিধা হয়েছে ৷ এখন আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাক ওও পণ্য উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।

এই বিষয়ে বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন অন্তর্ঘাত কি না বলতে পারব না তবে পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ স্থানীয় মানুষ পুরসভা ও দমকল বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে হাতেহাতমিলিয়ে আগুন প্রতিরোধ করেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা কারণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হলো ব্যবসায়ীদেরকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here