অর্পিতা বনিক, আশোকনগর: কথাতেই তো আছে ,যিনি রাঁধেন চুলও বাঁধেন। কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের অনেকেই আছেন যাঁরা ভাল অভিনয় করেন,গান করেন,আবৃত্তি করেন। কাজেই ফ্যাশন শো’তে তাঁরা অংশ নিতেই পারেন। নিলেনও। পয়লা মে আই এন ওয়াই সি একাডেমি -র বার্ষিক অনুষ্ঠান ‘উদযাপন ২০২৩’ , হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর শহীদ সদন মঞ্চে।

শুধু কম্পিউটর প্রশিক্ষক বা ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টররাই নয়, INYC স্টাফ, স্টুডেন্ট,ম্যানেজমেন্টের লোকজন- সমস্ত বিভাগের কর্মী সহ বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। নাচ, গান, জমজমাট অনুষ্ঠানের সঙ্গে ছিল আলো ঝলমল ফ্যাশন শো’র আয়োজন। ডিজাইনারদের’ অসাধারণ কনসেপ্ট শো’টিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। দেখুন ভিডিও

lNYC-র এই ফ্যাশন শো’র জন্য খুব ভাবনাচিন্তা করেই পোশাক তৈরি করেছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা ৷ তাঁদের কনসেপ্ট ছিল,ফ্যাশন ফর অল। টিপিকাল মডেলদের মতো পোশাক পরে র‍্যাম্পে ক্যাটওয়াক নয়, এমন পোশাক যা তাঁদের অন্য গুণকেও রিফ্লেক্ট করবে। ডিজাইনারদের কথায়,র‍্যাম্পে প্রত্যেকে যেন নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে পারেন।’

lNYC যেহেতু ভারতীয় সংস্থা তাই পোশাক ও শাড়িতে পূর্ব ভারতীয় একটা আমেজ রেখেছিলেন ডিজাইনাররা৷ বাংলার তাঁত,তসর,হ্যান্ডলুম ও সিল্ক ফ্যব্রিক ব্যবহার করেছেন পোশাকে,শাড়িতে। মেয়েদের শাড়ির ডিজাইনে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মাছের বিয়ে,পাখির সাজ, শান্তিনিকেতনের কাঁথাকাজ, প্রিন্টে এসেছে মধুবনি পেন্টিং ও কলমকারি পেন্টিং।

বছরভর সঙ্গী মাউস, কী বোর্ড, আর চোখেের সামনে মনিটরের আলোতে চোখের যন্ত্রণার সঙ্গে ঘর করতে করতে তাঁরা যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলেন৷ তাই ৷ ( INYC )কতৃপক্ষ আয়োজন করেছিলেন এই বার্ষিক আনন্দ অনুষ্ঠান ‘উদযাপন ২০২৩’।

শহীদ সদন মঞ্চে গান, নৃত্যে নিজেদের অন্য প্রতিভা মেলে ধরলেন INYC -র সব বিভাগের কর্মীরা। শেষে ছিল সোহিনী সোহার মন মাতানো গানের অনুষ্ঠান।
INYC-র ডিরেক্টর সংকলন রায় বলেন,’কয়েকঘণ্টার এই আনন্দ অনুষ্ঠান আমাদের সারা বছরের  জীবনযুদ্ধে উৎসাহ জোগাবে। অক্সিজেনের কাজ করবে আনন্দময় এই ফ্যাশন শো।’ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here