দেশের সময় , উত্তর২৪ পরগনা: বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টোয় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরের বাড়ি থেকে বেরোলেন ইডি আধিকারিকেরা।

এদিন ভোর ছয়টা থেকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। এদিন সকালে পাঁচটি গাড়ি করে ইডি আধিকারিকরা রথীন ঘোষের বাড়িতে যায়। মাইকেল নগরের বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি।

রাত পৌঁনে ২টোয় ইডি আধিকারিকরা বেরোনোর সময় মন্ত্রীর অনুগামী তৃণমূল সমর্থকদের ভিড় করে এবং ইডির উদ্দেশে ধিক্কার স্লোগান দিতে থাকে। আধিকারিকদের বার হতে অসুবিধা হচ্ছে দেখে রথীন নিজে এসে তাঁদের বাইরে বেরোতে সহযোগিতা করেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টোয় ইডির দল তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রথীন বলেন, “ইডি আধিকারিকেরা আমার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। তবে পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে তাঁদের ধারণায় অনেক গন্ডগোল আছে।” তিনি নিজে একটি বই দিয়ে ইডির তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি রথীনের। তিনি আরও বলেন, “সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই তল্লাশি। আমাকে হেনস্থা করতেই বাড়িতে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা।” নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।

দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। ঘোষ৷

ইডি সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজ়োনের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথিতে রথীনের নাম বার বার উঠে এসেছে। ইডির দাবি, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে, কীভাবে পৌঁছেছে, সেই খতিয়ে দেখাই তাদের উদ্দেশ্য। রথীনের বাড়ি ছাড়াও বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার দফতরে হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় একযোগে তাদের তল্লাশি অভিযান চলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here