পুজোর বাদ্যি বেজেছে
নানা রং, নানা সাজ, নানা থিম, নানা ভোজ! টেকনিকালারে দেখা লাইস্টাইল থেকে, ট্রেন্ডিং ফ্যাশন থেকে নতুন ডেস্টিনেশন, — পুজোর শহরের একরাশ গল্প নিয়ে ফের হাজির ‘ দেশের সময়’।
কলকাতা : দোড়ে কড়া নাড়ছে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। অন্যবার অনেক আগে থেকেই বাঙালি এই উৎসবের প্রস্তুতির আনন্দে মজে থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি একটু অন্য রকম। এক তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে চারদিকে শুধু ‘জাস্টিস’ – এর আবহ। কেউ মন খুলে পুজোর আনন্দে ভেসে যেতে পারছেন না। তাই তার প্রভাব পড়েছে বাজারে সর্বত্র। তবে বছরে একবারই মা আসেন। আর সেই পুজো ঘিরে বহু মানুষের রুজি- রুটি জড়িয়ে। বিভিন্ন বড় বড় পুজো কমিটিগুলো একটা পুজো শেষ করেই পরবর্তী পুজোর পরিকল্পনা করেন। রথের সময় কাঠামো পুজো দিয়েই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। বড় পুজোর মণ্ডপগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই। তাই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খুব একটা প্রভাব ফেলে নি। কমিটির কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কী বলছেন সেটাই তুলে ধরা হলো-
‘বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ’ – কমিটির সেক্রেটারি সন্দীপ চক্রবর্তী জানান, ‘ আমাদের পুজো এবার ৮৬ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। আগের পুজোর দশমীর দিনই আমাদের আর্টিস্ট ঠিক হয়েছে। তারপর আনুষঙ্গিক পরিকল্পনাও সে সময়েই হয়েছিল। এ বছর রথের দিন কাঠামো পুজোর পর থেকেই কাজ শুরু হয়। ৯ আগস্ট যখন ঘটনাটি ঘটেছিল তখন আমাদের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। তাই সেখান থেকে পিছিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। একটা বাজেট ঠিক করেই আমরা কাজে এগিয়েছিলাম। এবছর আমাদের আগের থেকে আরও বড় মাপের পুজোর চিন্তা – ভাবনা। এবারে পুজোর থিম ‘উৎসবের চালচিত্র’। আগে একটা সময় পুজো মানেই আমাদের কাছে ছিল নতুন জামাকাপড় ও জুতো কেনা। নামী শিল্পীদের নতুন গান শোনা।
কিন্ত প্রায় ২০০৭ সাল নাগাদ পুজোতে স্পনসরশিপের ব্যাপারটা আসে। আর তার পরবর্তীকালেই পুজোটা একটা ইন্ডাস্ট্রিতে পরিনত হয়েছে। এখানে একজন চা ওয়ালা যেমন তার সংসারটা চালাচ্ছে এই তিন মাসে।
তেমনি মন্ডপ গড়া থেকে বাকি সবরকম কাজের দায়িত্বে যে মানুষগুলো কাজ করে চলেছেন, তাদের রোজগারের একটা বড় অংশের সঞ্চয় কিন্তু এই পুজোর সময়টই হয়। আমাদের পুজোর ভাবনায় এবার পুজোকে ঘিরে এই সবদিকগুলোই আলোকপাত করা হবে। চলতি বছরে আমাদের আর্টিস্ট প্রদীপ্ত কর্মকার। প্রতিমা শিল্পী পিন্টু শিকদার। লাইট এবং সাউন্ডে আছেন যথাক্রমে- দীপঙ্কর দে এবং দীপোময় দাস।
পুজোর সময় : দেখুন ভিডিও